নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টির মধ্যে চলা বাকযুদ্ধে নতুন মাত্রা দিল বিদ্যুৎ।


সম্প্রতি, বারাণসীতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সেখানে ২৪-ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে রাজ্য প্রশাসন। অখিলেশের দাবির বিপক্ষ জবাব হিসেবে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তৈরি করা রিপোর্টকে হাতিয়ার করেছে কেন্দ্র।


প্রসঙ্গত, বারাণসী হল খোদ প্রধামনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র। এই আসন থেকেই লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন তিনি। ফলে, বারাণসী নিয়ে পাল্টা যুক্তি দিতে কালক্ষেপ করেনি কেন্দ্র।


তাদের অভিযোগ, শহরাঞ্চলে কোথায় কতটা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে এবং কোথায় ঘাটতি রয়েছে, তার খতিয়ান নথিভুক্ত করার জন্য একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ ‘উরজা’ চালু করেছে কেন্দ্র। যাতে গ্রাহকরা সব তথ্য জানতে পারেন।


অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেই অ্যাপে তথ্য সরবরাহ করছে না অখিলেশ প্রশাসন। রবিবার মোদী এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র আক্রমণ  করলে, জবাবে প্রধানমন্ত্রীকে গঙ্গার নামে শপথ করে এই অভিযোগ করতে বলেন।


এরপরই, সোমবার কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি দিয়ে তথ্য পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, গত অগস্ট মাস পর্যন্ত ওই অ্যাপে তথ্যের জোগান দিয়েছে সপা সরকার। তারপর বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, তথ্য দিলেই, ঘাটতির চিত্রটা প্রকাশ্যে চলে আসত।


কেন্দ্রের প্রশ্ন, বারাণসী যদি ২৪-ঘণ্টা নিরন্তর বিদ্যুৎ পেয়েই থাকে, তাহলে কেন উত্তরপ্রদেশ সরকার সেই তথ্য লুকোচ্ছে? তাদের দাবি, এই প্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষের রিপোর্ট বলছে, এই শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহের হার অত্যন্ত নিম্নমানের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে উদ্ধৃত করে কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, দেশের অন্য প্রান্তের তুলনায় উত্তরপ্রদেশে বিদ্যুৎ-ঘাটতির পরিমাণ সংখ্যার ভিত্তিতে ২ গুণ এবং ঘণ্টার ভিত্তিতে সেই পরিমাণ ৭ গুণ।


পাশাপাশি, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রকাশিত রিপোর্টকেও হাতিয়ার করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে বারাণসীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপকহারে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে।


গত তিনমাসে গড়ে দিনে ৮-১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকছে বারাণসী বলেও দাবি করা হয় ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে ১.৬ কোটি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।