নয়াদিল্লি:  গুরগাঁওয়ের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পড়ুয়া সাত বছরের প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। তদন্তে নেমে  সিবিআই ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রকে প্রথমে আটক করে জেরা করে।  পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ছাত্রকে আজ আদালতে পেশ করে হেফাজতে চাইবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত পড়ুয়া স্কুলের সেদিনের পরীক্ষা এবং পিটিএম পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাতেই প্রদ্যুম্নকে হত্যা করে। একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রের রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকত না। অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্টের চিকিতসাও চলছিল ওই পড়ুয়ার।


সূত্রের খবর, এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে শুরু থেকেই ওই ছেলেটিকে একাধিকবার সিবিআই অফিসে ডেকে জেরা করা হয়। সিবিআই সদর দফতরে অন্তত পাঁচবার ছেলেটিকে ডাকা হয়। যদিও গতকাল রাতে ছাত্রটিকে আটক করার পর পড়ুয়ার বাবার তরফে দাবি করা হয়, তাঁর ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ছেলেটিই প্রথম প্রদ্যুম্নকে গলা কাটা অবস্থায় স্কুলের শৌচাগারের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে।

এদিকে গুরগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এই হত্যাকাণ্ডের পর সারা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রশ্নের মুখে চলে আসে স্কুলগুলির নিরাপত্তা। একজন বাস কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে প্রদ্যুম্নের ওপর যৌন হেনস্থা চালানোর অভিযোগ আনা হয়। এমনকি বলা হয় ওই কন্ডাক্টর স্কুলের শৌচাগারের মধ্যে হস্তমৈথনু করছিল। ওই অবস্থায় প্রদ্যুম্ন তাকে দেখে ফেলতেই সে সাত বছরের পড়ুয়ার ওপর জোর জবরদস্তি করে। তখন হাত ছাড়িয়ে পালাতে গেলে প্রদ্যুম্নের গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতারও করা হয় ওই কন্ডাক্টরকে। এমনকি গুরগাঁও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, তাঁরা অভিযুক্ত অশোক কুমারকে দিয়ে তার দোষ কবুলও করিয়ে নিয়েছে।যদিও কন্ডাক্টরের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, তাদের ফাঁসানো হয়েছে এবং জোর করে বয়ান দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তারাই স্কুলের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলে।

তবে এই হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর এই মোড়ের পরও বাস কন্ডাক্টরকে এখনই ক্লিনচিট দিতে নারাজ সিবিআই।

প্রদ্যুম্নের পরিবারের তরফ থেকে বিশাল চাপ থাকায় হরিয়ানার খট্টর সরকার অবশেষে এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেয়। আপাতত ছেলের হত্যার নেপথ্যে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রের গ্রেফতার হওয়ার খবরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন প্রদ্যুম্নরে বাবা বরুণ ঠাকুর। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কুলের মধ্যে এই নৃশংস হত্যার ঘটনাটি ঘটে।