নয়াদিল্লি: স্বাধীনতার পর প্রণব মুখোপাধ্যায় দেশের অগ্রগন্য রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভা ও যোগ্যতা সবাই স্বীকার করতেন। সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই তিনি ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র।


প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন একবার সবাইকে চমকে দিয়ে অকপটভাবে জানিয়েছিলেন যে, ২০০৪-এ সনিয়া গাঁধী তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই পদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের লেখা দ্য কোয়ালিশন ইয়ার্স ১৯৯৬-২০১২ গ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠানে ওই মন্তব্য করেছিলেন মনমোহন।
মনমোহন স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, এ ব্যাপারে তাঁর কাছে অন্য কোনও বিকল্প ছিল না। এ কথা প্রণব মুখোপাধ্যায় জানেন। তিনি বলেছিলেন, আমি ঘটনাক্রমে রাজনীতিতে এসেছি, আর প্রণববাবু নিজের ইচ্ছেয়... ২০০৪-এ সনিয়াজী যখন আমাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, তখন আমি জানতাম প্রণবজী আমার থেকে অনেক বেশি যোগ্য। কিন্তু আমার এ ব্যাপারে অন্য কোনও বিকল্প ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায় যদি এমন ভাবেন যে, তাঁরই প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত ছিল, তাহলে এই ভাবনায় ভুল কিছু ছিল না।
উল্লেখ্য, ২০০৪-এ যখন কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার গঠন হয়েছিল, তখন কংগ্রেসের সবচেয়ে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। মনে করা হয়, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী রাজীব গাঁধীর সময় থেকে কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরিবর্তে মনমোহন সিংহকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেন। এরপর প্রণব মুখোপাধ্যায় ও সনিয়া গাঁধীর সম্পর্কের ওঠা-পড়া সবারই জানা।
৮৪ বছর বয়সে সোমবার প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্য়ায়।