নয়াদিল্লি: নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সংঘ (আরএসএস) সদর দফতরের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার আগে, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সরসংঘচালক কেশব বলিরাম হেগড়েবরের জন্মভিটে দর্শন করলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ভিজিটার্স বুকে লিখলেন, এসেছি ভারত মাতার মহান সন্তানকে শ্রদ্ধা জানাতে।
গোটা দেশের নজরে নাগপুর। আজ সেখানেই আরএসএস-এর সদর দফতরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। গতকালই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার একটু আগেই নাগপুরে পৌঁছেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। উঠেছেন রাজভবনে। নৈশভোজ সারেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে।


https://twitter.com/RSSorg/status/1004696240427167746

এদিন সকালে ভাগবতের সঙ্গে যান হেগড়েবরের জন্মভিটেতে। সূত্রের খবর, এই ঝটিকা সফর প্রথমদিকে প্রণবের সূচিতে ছিল না। কিন্তু, আচমকা, নিজেই হেগড়েবরের জন্মভিটেয় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শুধু যাওয়াই নয়। সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতার বাড়িতে গিয়ে ভিজিটর্স বুকে প্রণব লিখলেন, এসেছি ভারত মাতার মহান সন্তানকে শ্রদ্ধা জানাতে।


সন্ধে সাড়ে ৬টায় সঙ্ঘের কর্মসূচিতে ভাষণ দেবেন প্রণব। তার আগে, তাঁকে স্বাগত জানাবেন ভাগবত ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ভাইয়া জোশী। সেখানেও, হেগড়েবরের মূর্তিতে মাল্যদান করবেন প্রণব বলে জানা গিয়েছে।


https://twitter.com/RSSorg/status/1004698875410595840

প্রসঙ্গত, আরএসএস-এর বার্ষিক শিক্ষা বর্গের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতেই প্রণব মুখোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটি একটি বার্ষিক শিবির, যেখানে তিনবছর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।
আদ্যন্ত কংগ্রেসি প্রণব মুখোপাধ্যায় সঙ্ঘের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার পর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। কংগ্রেসের অন্দরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনুষ্ঠানে সামিল না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ট্যুইট করেছেন মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ও। যদিও, এর মধ্যে আপত্তির কিছু দেখছে না বিজেপি ও আরএসএস।
প্রসঙ্গত, আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাজির হওয়া নিয়ে বেশকিছু দিন ধরেই সরগরম জাতীয় রাজনীতি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই তাঁকে চিঠি লিখেছেন জয়রাম রমেশ, সি কে জাফর শরিফ সহ কয়েকজন কং নেতা। পাশাপাশি, প্রণবের সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত বদলের অনুরোধ করেন আনন্দ শর্মা। কিন্তু, কংগ্রেসের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর জেরে প্রণবের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন আনন্দ। বলেন, বহুত্ববাদে বিশ্বাসী কংগ্রেস সমর্থকরা এতে ক্ষিপ্ত। সাংবিধানিক মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের ক্ষিপ্ত করেছেন প্রণবদা।