নয়াদিল্লি: ২০০৪-এ যখন অন্তরাত্মার ডাক শুনে সনিয়া গাঁধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়ে, মনমোহন সিংহকে সেই পদের জন্য বেছে নিয়েছিলেন, তখন অনেকেই অবাক হয়েছিলেন! রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, কেন ইন্দিরা-রাজীবের একদা ঘনিষ্ঠ এবং দিল্লির রাজনীতির পোড়খাওয়া খেলোয়াড় প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সাত নম্বর রেসকোর্স রোডের বাড়িতে পাঠালেন না সনিয়া? তা নিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রকাশ্যে কোনওদিনই ক্ষোভ প্রকাশ না করলেও, ১৩ বছর বাদে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মনমোহন।


শুক্রবার প্রণবের একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মনমোহন। সেখানেই তিনি বলেছেন, ‘২০০৪ সালে সনিয়াজি যখন আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, তখন কিছু করার ছিল না। প্রণব সবচেয়ে সম্মাননীয় সহকর্মী ছিলেন। আমার চেয়ে বেশি যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী হতে না পারায় তাঁর ক্ষোভ সঙ্গত।’

প্রণব যখন রাজীব মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী, তখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ছিলেন মনমোহন। পরে ২০০৪ সালে সেই মনমোহনই যখন প্রধানমন্ত্রী, তখন তাঁর মন্ত্রিসভায় কখনও অর্থমন্ত্রী, কখনও বিদেশমন্ত্রী, কখনও আবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন প্রণব। দু’জনের প্রায় চার দশকের সম্পর্ক যে আজও অটুট তার প্রমাণ মিলেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথা থেকেই। প্রণবকে দেশের সবচেয়ে মহান রাজনীতিবিদদের অন্যতম বলে উল্লেখ করেছেন মনমোহন।