নয়াদিল্লি: মন্ত্রী, বিধায়ক,বিচারপতি, ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও সরকারের অনুমতি ছাড়া তদন্ত করা যাবে না। রাজস্থানের বিজেপি সরকারের এই বিল নিয়ে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শুধু বিরোধীরাই নয়, রাজস্থানের এক বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়কও এর প্রতিবাদ করেছেন।  এই বিরোধিতার মুখে বসুন্ধরা সরকারের পাশেই দাঁড়াল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ আটকাতেই এই বিল নিয়ে আসা হয়েছে।


বিজেপির প্রধান দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রসাদ অভিযোগ করেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ যাতে বন্ধ হয় সেজন্যই এই উদ্যোগ। আধিকারিকরা কাজ করতে গিয়ে যাতে নিগৃহীত বোধ না করেন তা নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য। বিলটি উত্থাপন করার ক্ষেত্রে এই কারণই দেখিয়েছে রাজ্য সরকার।

আইনমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সদ্যই বিদেশ থেকে এসেছেন। বিলটি ভালোভাবে পড়ে দেখা হয়নি তাঁর। তবে রাজস্থান সরকারেরই এক সমীক্ষা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগের ৭৩ শতাংশই মিথ্যে।

বিরোধী কংগ্রেস সদস্যদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অপরাধ আইন (রাজস্থান সংশোধনী) বিল, ২০১৭ পেশ করেছেন। এই বিল পাশ হলে তা গত ৭ সেপ্টেম্বরের অর্ডিন্যান্সটি আইনে পরিণত হবে।

গত মাসেই এই অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল বসুন্ধরা রাজের সরকার। কোনও মন্ত্রী, বিধায়ক, সরকারি কর্তা বা বিচারকের বিরুদ্ধে যে কেউ অভিযোগ করলেই, সেই অভিযোগ আদালত গ্রহণ করতে পারবে না। সরকার অনুমতি দিলে তবেই অভিযোগ গ্রহণ করা যাবে। কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিতে হলেও আদালতকে সরকারের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তদন্তের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমও এ ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করা যাবে না।