নয়াদিল্লি: নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।  নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তিনি যে নিজের অবস্থানে অনড় সে কথাই স্পষ্ট করে দিলেন আইনজীবী তথা নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ প্রশান্ত ভূষণ।

এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানকে আমি সর্বোচ্চ সম্মান দিই, সেই আদালতে যদি আমার বয়ান থেকে পিছু হঠি যেটা আমি সত্যি বলে বিশ্বাস করি, বা নিঃশর্ত ক্ষমা চাই, সেটা আমার বিবেকের সঙ্গে অবমাননা করা হবে।

ভূষণ তাঁর দুটি ট্যুইটের জন্য আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। প্রথম ট্যুইট  ছিল গত ২৯ জুনের। সেখানে  ছিল প্রধান বিচারপতি বোবদের মহার্ঘ  বাইকে চড়ার ছবি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ও পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়।  দ্বিতীয় ট্যুইটে ভূষণ দেশের শেষ চার প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছিলেন।

আদালত তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে। দোষী সাব্যস্ত করার পর ২৪ অগস্ট পর্যন্ত নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার রাস্তায় যে তিনি হাটবেন না দিন তিনেক আগেই তার প্রমাণ মিলেছিল। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যে কোনও পরিণামের জন্য তৈরি থাকার বার্তা দিয়েছিলেন দেশের ছাত্র ও যুবসমাজকে।

শুধু আদালতের ভূমিকা নিয়ে নয়, কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। নাগরিকদের যুক্তিপূর্ণ চিন্তার ক্ষমতায় আঘাত করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।