ভূবনেশ্বর: ওড়িশায় ফের নেই-রাজ্যের বেহাল চিত্র। মিলল না অ্যাম্বুলেন্স। গ্রামে নেই পাকা সড়ক, সেতু। বাধ্য হয়ে অন্তঃসত্ত্বাকে কাঁধে চাপিয়ে নদী পেরিয়ে প্রসবের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেন পরিবারের লোকজন। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী পি কে জেনা বলেছেন, এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তৃপক্ষ ও জেলা কালেক্টরকে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রায়গড় জেলার ওই মহিলা গতকাল সন্ধেয় কল্যাণসিংহপুরের একটি কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে সন্তান প্রসব করেন। মা ও সদ্যোজাত-উভয়েই সুস্থ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

কল্যাণসিংহপুর থানার তালাসাজা গ্রামের অঙ্কু মিনিয়াকা (৩০) গতকাল প্রসব বেদনা অনুভব করেন। অঙ্কুর পরিবারের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি।

কোনও উপায় না দেখে অঙ্কুকে একটি স্টেচারে করে কাঁধে চাপিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পেরিয়ে নাগাবলী নদীর পারে আসেন বাড়ির লোকজন। নদীতে ছিল কোমর সমান জল।এই অবস্থায় অঙ্কুকে বাড়ির লোকজন কাঁধে চাপিয়ে নদী পার হন। নদী পার হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমের একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি তাঁরা দেখতে পান। ওই গাড়িতে করেই অঙ্কুকে কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানে রাতে কন্যা সন্তান প্রসব করেন অঙ্কু।

অঙ্কুদের গ্রামে পাকা রাস্তা নেই। নদীর ওপর কোনও সেতুও নেই। জেলা কালেক্টর জানিয়েছেন, বিজু সেতু যোজনায় তালাসাজা গ্রামে নাগাবলী নদীর ওপর একটি সেতু তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ওড়িশায় কালাহান্ডি জেলার দানা মাঝির অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে হাসপাতাল থেকে গ্রামে ফেরার ঘটনা ঘিরে সারা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছিল।