নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে বিরোধী শিবিরে তৎ‍পরতা তুঙ্গে। শুক্রবার সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে ফের বৈঠক হওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেদিন অন্যান্য বিরোধী দলও বৈঠকে বসতে পারে।
মোদী সরকার কাকে প্রার্থী করবে কিংবা প্রণব মুখোপাধ্যায়কেই ফের তারা রাষ্ট্রপতি করতে চাইবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিরোধীরা অবশ্য বসে নেই। তারা নরেন্দ্র মোদীর প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা প্রার্থী দিতে এককাট্টা হতে চাইছে। বুধবার দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ফের সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা।
এদিন মমতা বলেন, আমরা তো চাইব বিরোধী ঐক্য। তার ভিত্তিতে প্রার্থী ঠিক করার কথা চলছে। আমার ব্যক্তিগত কোনও চয়েস নেই। তবে ব্যক্তির থেকে দেশ বড়। শুক্রবার বিরোধীদের একটায় বৈঠক।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বিরোধী ঐক্য তৈরিতে তৎ‍পর সিপিএমও। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাহুল গাঁধীর বাসভবনে গিয়ে বৈঠক করেন সীতারাম ইয়েচুরি। এরপর সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল এবং জেডিইউ নেতা শরদ যাদবের বাড়িতে গিয়েও বৈঠক করেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। রাতে তিনি ফোনে কথা বলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে।
সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, বিরোধী দলগুলির ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী ঠিক করার দিকে এগোচ্ছি। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। মোদী সরকারের তরফে কী নাম আসে সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, উপলক্ষ্য রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করা হলেও, বিরোধীদের আসল লক্ষ্য, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে, মোদী-বিরোধী মঞ্চ তৈরি করা। সেই মতো গত মাসই আসরে নামেন সনিয়া গাঁধী। সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার, শরদ যাদব, এনসিপির শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। গত ১৬ই মে, বৈঠক করেন মমতার সঙ্গে। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করা নিয়ে শুক্রবার ফের সনিয়া-মমতা বৈঠক হওয়ার কথা।