নয়াদিল্লি: প্রত্যাশিত জয়ই পেলেন রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ পদপ্রার্থী বিরোধী প্রার্থী মীরা কুমারকে পরাজিত করলেন ভাল ব্যবধানে। তিনি হলেন দেশের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি, দ্বিতীয় দলিত যিনি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসতে চলেছেন।

বিহারের প্রাক্তন রাজ্যপাল কোবিন্দ পেয়েছেন মোট ভোটের ৬৫ শতাংশের বেশি। কোবিন্দ পেয়েছেন ২৯৩০টি ভোট, যার মূল্য ৭ লক্ষ ২ হাজার ৪৪। অন্যদিকে ১৮টি বিরোধী দলের সর্বসম্মত প্রার্থী, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার পেলেন ১৮৪৪ ভোট, যার মূল্য ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩১৪। মীরা পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ ভোট। এ কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার অনুপ মিশ্র।

এই প্রথম বিজেপি নিজের জোরে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে আনল। এনডিএ ছাড়াও কোবিন্দকে সমর্থন করে বিজেডি, জেডিইউ, এডিএমকে-র মত দলগুলি।



রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটদানপর্ব মিটেছে ১৭ তারিখ। ভোট দিয়েছেন ৩২ রাজ্যের জনপ্রতিনিধি। সব মিলিয়ে ৪১২০ জন বিধায়ক ও ৭৭৬ জন সাংসদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা। ২ দিন আগেই সেই ব্যালট বক্স এসে পৌঁছেছে সংসদে। সংসদ ভবনের ৬২ নম্বর ঘরে ১৭ তারিখ সাংসদরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সেই ঘরেই আজ গোনা হয় ব্যালট। একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য ঠিক হয় তাঁর রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে। তবে সাংসদের ভোটের মূল্য একই, সেই ৭০৮।

সূত্রের খবর, ভোটের ফল থেকে অনুমান করা হচ্ছে, ব্যাপক ক্রস ভোটিং হয়েছে একাধিক রাজ্যে। মূলত বিরোধী শিবিরের লোকজন কোবিন্দকে ভোট দিয়েছেন মীরার বদলে।

এদিন গণনার শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়েন মীরা, তবে তা সত্ত্বেও বলেন, আমি যে আদর্শ সামনে রেখে লড়ছি, তাতে গভীর বিশ্বাস রয়েছে। বিবেকের নির্দেশে বিশ্বাস করি। দেখাই যাক,সেই ডাকে কতটা সাড়া মেলে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিরাশই হতে হল।

এনডিএ-র দলিত প্রার্থীর পাল্টা কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরের দাঁড় করানো মীরাকে শুরু থেকেই নির্বাচনকারী ভোটদাতা বিধায়ক, সাংসদদের উদ্দেশ্যে বিবেক ভোটের ডাক দিতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, তাঁরা যেন 'বিবেকের ডাকে' সাড়া দিয়ে যে 'আদর্শ ভারতকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে', তাকে রক্ষা করতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

মীরাকে ক্রস ভোটিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শব্দটা আমি ব্যবহারের পক্ষপাতী নই, কেননা প্রত্যেকের নিজের পছন্দ, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোট দেওয়ার অধিকার আছে।