নয়াদিল্লি:  আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের যৌথ প্রার্থী নিয়ে সহমতে পৌঁছতে আগামী বুধবার বৈঠকে বসতে চলেছে ১০ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। সূত্রের খবর, সংবিধান গঠন হওয়ার পর এই প্রথমবার বৈঠকে বসতে চলেছে বিরোধীদের তৈরি দশ সদস্যের গোষ্ঠী।


এদিনই বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ঘোষণা করেন যে, রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলি ও বেঙ্কাইয়া নাইডুকে নিয়ে গঠিত একটি প্যানেল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে শরিক ও বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করবে। ঠিক তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বুধবারের বৈঠকের ডাক দিল বিরোধীরা।


প্রসঙ্গত, বিরোধী নেতারা এই ইস্যুতে একাধিক বৈঠক করেছেন। রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে ঐকমত্যের জন্য সচেষ্ট কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। কিন্তু, বিরোধীরা চাইছে, সরকার আগে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করুক। তারপর সেই নাম সমর্থনযোগ্য কি না, তা নিয়ে বৈঠক করবে বিরোধীরা।


এক শীর্ষ নেতা জানান, এনডিএ-র সঙ্গে আলোচনায় যদি প্রার্থী নিয়ে সহমতে পৌঁছনো সম্ভব না হয়, তাহলে বিরোধীরা যৌথ প্রার্থীর নাম বিবেচনা করতে পারে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে ওই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন গুলাম নবি আজাদ ও মল্লিকার্জুন খাড়গে।


এছাড়া, ১০-সদস্যের গোষ্ঠীতে থাকতে পারেন—জেডিইউ-এর শরদ যাদব, আরজেডি-র লালুপ্রসাদ যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি। এছাড়া, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও এনসিপি-র সদস্যরাও থাকবেন।


এখনও পর্যন্ত তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম খামবন্দি করে রেখেছে শাসক দল। তবে, বিরোধীদের আলোচনায় বেশ কয়েকটি নাম উঠে এসেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন—পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শরদ পওয়ার। ইতিমধ্যেই, তাঁদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও সেরে ফেলেছে বিরোধীরা। যদিও, শরদ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাইসিনা হিলসের দৌড়ে নেই।


প্রসঙ্গত, বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ জুলাই। উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১০ অগস্ট। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ১৭ জুলাই। গণনা ২০ জুলাই।