নয়াদিল্লি: প্রশান্ত কিশোরের ট্যুইট ঘিরে জল্পনা। তা অমিত শাহের গতকালের বক্তব্যের পাল্টা কিনা, সেই প্রশ্নই উঠছে। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারে শাহিনবাগের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী অবস্থান, বিক্ষোভকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন, দিল্লির ভোটে ভোটাররা এমন ক্রোধে ইভিএমে বোতাম টিপুন, যার কারেন্ট অর্থাত্ ভোটের ফল শাহিনবাগেও টের পাওয়া যায়। পরদিনই জেডি (ইউ) শীর্ষনেতা কিশোর কারও নাম না করে হিন্দিতে ট্যুইট করেন, এত আস্তে, কোমল ভাবে আঘাত করা উচিত যাতে সৌভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি না মার খায়! মনে করা হচ্ছে, ট্যুইটে শাহকেই পরোক্ষে বিঁধলেন তিনি।
সিএএ-বিরোধী আন্দোলন, শাহিনবাগের মহিলাদের ধরনায় রাজধানীর রাজনীতিতে আলোড়ন চলছে। সেই প্রেক্ষাপটে দিল্লির ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ভালবাসা দিয়েই দিল্লিতে ইভিএমে মানুষ বোতাম টিপবেন বলে মন্তব্য করেছেন কিশোর।


প্রসঙ্গত, জেডি (ইউ) বিজেপির শরিক, সিএএ-কে তারা সমর্থন করছে। কিন্তু প্রকাশ্যে এই আইনের বিরোধিতা করেছেন কিশোর। আগেও তিনি সিএএ নিয়ে শাহকে কটাক্ষ করেছেন, যাতে জেডি(ইউ)-তে অশান্তি হচ্ছে। শরিকি নেতার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপিও। দলের ভিতরে কিশোরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠলেও জেডি (ইউ) সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তা খারিজ করেছেন। কিশোরের কনসালটেন্সি ফার্ম আই-প্যাক দিল্লি বিধানসভা ভোটে অরবিন্দ কেজরিবালের আমআদমি পার্টি (আপ)কে জেতানোর প্রচার-কৌশল রচনার দায়িত্ব নিয়েছে।
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে শাহিনবাগে মাসখানেকের বেশি চলছে সিএএ প্রত্য়াহারের দাবিতে মহিলাদের অবস্থান কর্মসূচি। বিজেপি নেতাদের দাবি, দিনরাত ওখানে যে মহিলা, পুরুষরা পড়ে আছে, তাদের পয়সা দিচ্ছে কংগ্রেস ও আরও কিছু বিরোধী দল। কপিল মিশ্রের মতো কোনও কোনও বিজেপি নেতার অভিযোগ, শাহিনবাগ আন্দোলনে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট গোষ্ঠীরা ঢুকে পড়েছে, ফলে দেশের নিরাপত্তার সামনে বিপদ খাড়া হয়েছে।
সেই প্রেক্ষাপটেই শাহ একই ভাষ্য হাজির করে বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি বিজেপির ঝুলিতে আপনার ভোট পড়লে দলের প্রার্থীর জয়ের পাশাপাশি দেশ, রাজধানী সুরক্ষিত হবে, শাহিনবাগের মতো ঘটনা রোধ করা যাবে।