এই দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের মূলত এই সপ্তাহের শুরুতে একটি খুনের মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। পরে জেরায় সামনে আসে এই তথ্য।
জেরায় মোতিলাল পাসওয়ান, উমা শঙ্কর পটেল এবং মুকেশ যাদব জানায়, তারা ভারতীয় রেলেকে টার্গেট করেছিল জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর নির্দেশে। উত্তরপ্রদেশ এটিএস জানিয়েছে, তারা আবার করে ওই দুর্ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক পরীক্ষা করবে।
জেরায় মোতিলাল আরও জানিয়েছে, তারা ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ কানপুর দেহাতে আরও একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল। ওই অপারেশনের সঙ্গে সাতজন যুক্ত ছিল। তাদের সমস্ত নির্দেশ দিয়েছিল ব্রিজ কিশোর গিরি নামের আর এক ব্যক্তি। সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করেছে নেপাল পুলিশ। এখন সে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। মোতিলালের এই দাবিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনার মূল চক্রী হল সামসুল হোডা নামে এক ব্যক্তি। এই বিস্ফোরণ ঘটাতে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। বর্তমানে এই ব্যক্তি দিল্লিতে রয়েছে, এরসঙ্গেই আইএস-এর যোগ রয়েছে, খবর এটিএস সূত্রের।