লখনউ:  নভেম্বরে কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনায় আগেই সামনে এসেছে আইএস যোগের তত্ত্ব। এই দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এরমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ট্রেনের ট্র্যাকে একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখার পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় সন্দেহভাজন মোতিলাল পাসওয়ান দাবি করেছে, তারা একটি প্রেসার কুকারের ভেতর বিস্ফোরক বোঝাই করে রেখেছিল। তারপর সেটাই ট্রেনের ট্র্যাকে রেখে দেওয়া হয়। তার থেকে ঘটে বিস্ফোরণ, যার জেরে কানপুরে ঘটে যায় সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নভেম্বরের সেই দুর্ঘটনায় ইনদওর-পটনা এক্সপ্রেসের ১৪টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, মৃত্যু হয় দেরশো জনের। দুর্ঘটনাটি কানপুর থেকে ১০০ কিমি দূরত্বে ঘটেছিল।


এই দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের মূলত এই সপ্তাহের শুরুতে একটি খুনের মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। পরে জেরায় সামনে আসে এই তথ্য।

জেরায় মোতিলাল পাসওয়ান, উমা শঙ্কর পটেল এবং মুকেশ যাদব জানায়, তারা ভারতীয় রেলেকে টার্গেট করেছিল জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর নির্দেশে। উত্তরপ্রদেশ এটিএস জানিয়েছে, তারা আবার করে ওই দুর্ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক পরীক্ষা করবে।

জেরায় মোতিলাল আরও জানিয়েছে, তারা ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ কানপুর দেহাতে আরও একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল। ওই অপারেশনের সঙ্গে সাতজন যুক্ত ছিল। তাদের সমস্ত নির্দেশ দিয়েছিল ব্রিজ কিশোর গিরি নামের আর এক ব্যক্তি। সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করেছে নেপাল পুলিশ। এখন সে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। মোতিলালের এই দাবিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনার মূল চক্রী হল সামসুল হোডা নামে এক ব্যক্তি। এই বিস্ফোরণ ঘটাতে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। বর্তমানে এই ব্যক্তি দিল্লিতে রয়েছে, এরসঙ্গেই আইএস-এর যোগ রয়েছে, খবর এটিএস সূত্রের।