নয়াদিল্লি: শেষ কদিনে আমরা দুটো জিনিস দেখেছি। ‘বিকাশবাদ’ আর ‘বিরোধবাদ’। আর এই দুইয়ের মধ্যে রয়েছেন জনসাধারণ। তাঁরা জানেন, কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। এনডিএ সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা বললেন। তাঁর কথায়, গত ১৫ দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে বিচার করা হয়েছে, সেটা ঠিক না ভুল। তাতে কোনও অন্যায় নেই, গণতন্ত্রে প্রত্যেকের কাজের মূল্যায়ন করার অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু কথা হল, হতাশার পরিবেশ তৈরি করার মত ভুল যেন কখনও না হয়। আগের সরকারের প্রতি সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগের ইউপিএ সরকার যে দুর্নীতিতে আপাদমস্তক ডুবে ছিল, তা অস্বীকারের উপায় নেই। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশকে বার করার চেষ্টা করেছে নতুন সরকার। আগের সরকারের সঙ্গে এখনকার সরকারের সঙ্গে তুলনা করলেই পার্থক্যটা পরিষ্কার বোঝা যাবে। সাধারণ মানুষ বর্তমান সরকারকে বিপুল জনাদেশ দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে, তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখা এই সরকারের কর্তব্য।


প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির ক্ষেত্রে তাঁরা দেখেছেন, কীভাবে আগের সরকার পুরো ব্যবস্থায় জল মিশিয়ে রেখেছিল, কত লোককে অকারণে কীভাবে বেআইনি সুবিধে পাইয়ে দিয়েছিল তারা। একই ঘটনা ঘটেছে কেরোসিন ও রেশন কার্ডের ক্ষেত্রেও। তাঁর কথায়, গোটা একটা দেশের স্বপ্নকে ধ্বংস করার পক্ষে শুধু দুর্নীতিই যথেষ্ট। আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে এখনও পর্যন্ত ৩৬,০০০ কোটি টাকারও বেশি অকারণে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে সরকার। ওই টাকা যাদের পকেটে ঢুকত, তারা তাঁকে স্বাভাবিকভাবেই গালাগালি দিচ্ছে, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু তাঁর সরকার গরিবের সরকার। গরিব মানুষের এক পয়সাও যাতে নয়ছয় না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, আগামী ৩ বছরে ৫ কোটি রান্নাঘরে এলপিজি সংযোগ পৌঁছে দেবে তাঁর সরকার। তবে সব কিছুর আগে মানুষের ওপর বিশ্বাস না হারানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।