নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় ভোটিং চেম্বারে ব্যক্তিগত পেন নিয়ে যেতে পারবেন না সাংসদ-বিধায়করা। নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।


সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করবেন আগামীকাল ভোট দেবেন সাংসদ-বিধায়করা। তার প্রাক্কালে রবিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, ভোটিং কক্ষে নিজেদের পেন নিয়ে ঢুকতে পারবেন না ভোটাররা। পরিবর্তে, কমিশনের দেওয়া বিশেষ ‘মার্কার’ পেন ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে।


গত বছর হরিয়ানা রাজ্যসভা নির্বাচনে কালি-বিতর্কের পর থেকে এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সতর্ক কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়, রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিশেষ কালি ব্যবহার করা হবে।


কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের জন্য বিশেষ সিরিয়াল নম্বরের বেগুনি কালির পেন প্রত্যেক সেন্টারে সরবরাহ করা হয়েছে। ভোটিং কক্ষে প্রবেশ করার আগে সাংসদ-বিধায়কদের থেকে তাঁদের ব্যক্তিগত পেন নিয়ে নেওয়া হবে এবং ওই বিশেষ পেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ফের, ভোট দেওয়ার পর তাঁরা বের হলে, বিশেষ পেনটি পুনরায় ফেরত নিয়ে সদস্যদের হাতে তাঁদের পেন তুলে দেওয়া হবে।


কমিশন জানিয়েছে, তাদের দেওয়া পেন ছাড়া অন্য কোনও পেন ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট ভোট বাতিল হিসেবে বিবেচিত হবে। জানা গিয়েছে, এই বিশেষ পেনটি মহীশূরের পেইন্ট অ্যান্ড ভার্নিশ সংস্থা তৈরি করেছে। পাশাপাশি, সাংসদ ও বিধায়কদের জন্য পৃথক রঙের ব্যালট পেপার দেওয়া হয়েছে। সাংসদদের জন্য সবুজ ও বিধায়কদের জন্য গোলাপী রঙের ব্যালট বাছা হয়েছে।


কমিশন জানিয়েছে, ভিন্ন রঙের ব্যালটের ফলে, গণনার সময়ে রিটার্নিং অফিসারের সুবিধা হবে। যেমন, একজন সাংসদের ভোটের মূল্য ৭০৮। কিন্তু, একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য তাঁর রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মোট ভোটের মূল্য ১০,৯৮,৯০৩।


এই প্রথমবার, ভোটারদের জন্য কী করা উচিত আর কী উচিত নয়, তার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, সদস্যদের প্রভাবিত করতে কোনও রাজনৈতিক দল প্রভাবিত করতে পারবে না। তেমনটা হলে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের জরিমানা হবে। কমিশনের নির্দেশ, যেহেতু রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে হবে, তাই ভোটাররা কোন প্রার্থীকে ভোট দিলেন, তা তাঁরা প্রকাশ করতে পারবেন না।


আগামী ২০ জুলাই ভোটগণনা হবে।