যোধপুর: আদালত তাঁকে মুক্তি দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু চিঙ্কারা মামলা কিছুতেই সলমন খানের পিছু ছাড়ছে না। তাঁর গাড়ির চালক হরিশ দুলানি দাবি করেছেন, আর তকেউ নন, বিরল প্রজাতির চিঙ্কারা হরিণ শিকার করেছিলেন সলমনই।


চিঙ্কারা হত্যার প্রধান সাক্ষী দুলানি ১৯৯৮-এ ঘটনার দিন সলমনের গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁর বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে গোটা মামলা। বয়ানে দুলানি জানান, সলমনই শিকার করেন চিঙ্কারা। কিন্তু তারপর আদালত থেকে তাঁকে বারবার সমন পাঠালেও তিনি অনুপস্থিত থাকেন। মামলার শুনানি চলাকালীনও আদালতে দেখা যায়নি তাঁকে। শেষে মূলত তাঁর অনুপস্থিতির কথা বিবেচনা করেই রাজস্থান হাইকোর্ট সলমনকে চিঙ্কারা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। আদালত বলে, হরিশ দুলানি দীর্ঘদিন ধরে আদালতে না আসায় সলমনের আইনজীবী তাঁকে জেরা করতে পারেননি। ফলে তাঁর বয়ান গ্রাহ্য হবে না।

কিন্তু বুধবার আবার প্রকাশ্যে আসেন হরিশ। জানান, ‘৯৮-এর অক্টোবরে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তিনি যে বয়ান দেন, তা থেকে নড়ছেন না। দাবি করেন, তাঁকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, ফলে প্রকাশ্যে আসতে পারেননি প্রাণভয়ে। এবার যদি আদালত তাঁকে ডাকে, তাহলে তিনি সত্যি কথাই বলবেন। সলমনকে বাঁচানোর জন্য আদালতের সমন তাঁকে পাঠানো হয়নি বলেও তাঁর দাবি। নিয়মিত অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তাঁর দাবি, গত বছর নভেম্বর থেকে এ বছর মে পর্যন্ত তিনি নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। দুলানির প্রশ্ন, তাঁর বয়ান না নিয়েই কীভাবে বলিউডি তারকাকে বেকসুর খালাস দিল আদালত?

দুলানির বয়ানে সলমনের বিপদ বাড়তে পারে, কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের যে আর একটি মামলা চলছে, তারও প্রধান সাক্ষী এই দুলানিই। ১০ অগাস্ট শুনানির দিন তাঁকে আদালতে ডাকা হয়েছে, দুলানি জানিয়েছেন, নিজের বয়ান থেকে তিনি সরবেন না।

চিঙ্কারা মামলার প্রধান সাক্ষীর অভিযোগ, সলমনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে প্রচুর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। নিয়মিত হুমকি ফোন করা হয়েছে তাঁদের, চাকরি, বাবা মা, মানসিক শান্তি- সবই খুইয়েছেন তিনি।