নয়াদিল্লি: গোপনীয়তার অধিকার সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। বলল সুপ্রিম কোর্ট। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোপনীয়তায় বিধিনিষেধ রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।


গোপনীয়তার অধিকারের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এই রায়ের ফলে আধার কার্ড এর অচল হয়ে পড়ল কিনা সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট কিছু বলেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেবে বিচারপতিদের ৫ সদস্যের একটি বেঞ্চ। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য, আধার নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে না।

প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের ৯ বিচারপতির এক সাংবিধানিক বেঞ্চ আজ এই রায় দিয়েছে। অন্য বিচারপতিরা ছিলেন, জে চেলমেশ্বর, এস এ বোবদে, আর কে আগরওয়াল, আর এফ নরিম্যান, এ এম সাপ্রে, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এস কে কৌল ও এস আবদুল নাজির। কেন্দ্রর বক্তব্য ছিল, সংবিধান গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে দেখছে না। কিন্তু সর্বসম্মতভাবে আদালত বলেছে, গোপনীয়তার অধিকার সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার আওতায় অন্যতম অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। এই অধিকার জীবনধারণ ও স্বাধীনতার অন্যতম অংশ।

এই রায়ের ফলে কী হবে?

বিয়ে, লিঙ্গ বা পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে জানাতে আপনি আর বাধ্য নন।

ক্রেডিট কার্ড, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, আয়কর ডিক্লারেশনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে আসা বন্ধ হবে।

যাবতীয় তথ্য, যেখানে গোপনীয়তা রক্ষার ন্যূনতম বিধিনিষেধ জরুরি, সেখানেই তা বজায় থাকবে।