রাজনীতি অবশ্য তাঁর কাছে একেবারেই নতুন নয়। তিনি গাঁধী-নেহরু পরিবারের কন্যা।
তাঁর রক্তে রাজনীতি। মা ও দাদার হয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন বহুবার।
প্রিয়ঙ্কাকে ঘুরে উৎসাহ দেখা গিয়েছে চোখে পড়ার মতো।
তিনি কবে সরাসরি রাজনীতিতে পা রাখবেন? এ নিয়ে বার বার জল্পনা আকাশ ছুয়েছে। কিন্তু, প্রিয়ঙ্কা রাজনীতির পথ মাড়াননি। বার বার বলছেন, রাজনীতি না করেও মানুষের জন্য কাজ করা যায়। রাজনীতির খাতায় নাম না লিখিয়েও মানুষের কাছে গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁদের কথা শুনেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
অনেকে তাঁর মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন ইন্দিরা গাঁধীর ছায়া।
কিন্তু, তারপরেও প্রিয়ঙ্কা রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছেন। এবার কি মন বদলালেন রাজীব তনয়া? সূত্রের দাবি, তাঁকে কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক মহলে খবর, এ বার উত্তরপ্রদেশের ভোট কংগ্রেসের প্রচারের মুখ হতে পারেন প্রিয়ঙ্কা।
সেক্ষেত্রে, তিনি অমেঠি, রায়বরেলিতে আটকে না থেকে এবার গোটা রাজ্যজুড়েই প্রচারে ঝুড় তুলবেন। উত্তরপ্রদেশের এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক গুলাম নবি আজাদ, সম্প্রতি, সনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা, দু’জনের সঙ্গেই বৈঠক করেন। প্রিয়ঙ্কা নিজেও আলাদা ভাবে গুলামের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এর থেকে প্রিয়ঙ্কার উৎসাহ স্পষ্ট। যদিও, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড এখনই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছে না।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের মোক্ষম তাস হতে পারে প্রিয়ঙ্কা। কারণ, প্রিয়ঙ্কা প্রচারে ঝাপানো মানে উত্তরপ্রদেশে কোমায় থাকা কংগ্রেসের কাছে বাড়তি অক্সিজেন। আবার, প্রিয়ঙ্কা যদি সফল হন, সেক্ষেত্রে রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠ যাবে। কারণ, রাহুলের নেতৃত্বেই এই উত্তরপ্রদেশে গত বার প্রায় মুছে গিয়েছিল কংগ্রেস। তারপর, একের পর এক রাজ্যে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। লোকসভায় মোদির সঙ্গে সম্মুখ সমরে নেমেছিলেন রাহুল। সেই লড়াইয়েও কংগ্রেস সহসভাপতি গোহারা হেরেছেন।
কেরল-অসমে রাজপাট গিয়েছে। একমাত্র বড় রাজ্য বলতে হাতে রয়েছে শুধু কর্ণাটক।
সম্প্রতি রাহুলের সাফল্য বলতে একমাত্র ছোট্ট কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি
এই প্রেক্ষাপট, বোনের সাফল্য দাদার রাজনৈতিক কেরিয়ারকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে বলেও অনেকের মত। যদিও, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, আদৌ কি প্রিয়ঙ্কার হাত ধরে উত্তরপ্রদেশে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারবে কংগ্রেস?