চণ্ডীগড়: সংসদে কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী। লোকসভায় তাঁদের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। রাজ্যসভায় ভারতের সবথেকে প্রাচীন রাজনৈতিক দলের নেতা গুলাম নবি আজাদ। সংসদের উচ্চকক্ষে বিরোধী দলনেতাও তিনি। তবে দলীয় মসনদেই শীর্ষস্থান ফাঁকা। রাহুল গাঁধীর পদত্যাগের পর কংগ্রেস সভপতির পদে আপাতত ‘কেয়ারটাকার প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মতিলাল ভোরা। যতদিন না নতুন সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছে ততদিন কার্যনির্বাহী সভাপতি পদে হিসেবে থাকবেন ৯০ বছরের এই প্রবীন নেতাই।


রাহুলকে তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করে পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলেও তিনি রাজি হননি। এরপর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রাহুলের অন্যতম সৈনিক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। আরও অনেক নেতাই দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে এসেছেন। এমন পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেসের ডুবন্ত নৌকার নাবিক হবেন কে? একাধিক নাম নিয়ে আলোচনা হলেও সিংহভাগই চাইছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়াকেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হোক। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ-ও তাই চান।


পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই যুবদের হাতে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বলে এসেছেন। কংগ্রেস সভাপতি পদেও তিনি একজন যুব নেতাকেই দেখতে চান। আর অমরিন্দর সিংহর মতে সেই পদের জন্য যোগ্যতম প্রার্থী আর কেউ নন, স্বয়ং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়া। তাঁর কথায়, “ভারত একটি তরুণ রাষ্ট্র এবং তরুণ প্রজন্মের নেতার কথাতেই সাড়া দেবে। তাঁর (প্রিয়ঙ্কা) সেই বুদ্ধিমত্তা রয়েছে এবং সহজাতপ্রবৃত্তিতেই তিনি দেশের প্রয়োজন বুঝতে পারবেন। লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনার উৎসাহ-ও তাঁর মধ্যে রয়েছে। দলের চালক আসনে প্রিয়ঙ্কাই শ্রেষ্ঠ পছন্দ।” কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি প্রিয়ঙ্কাকে সর্বোচ্চ পদে নিয়ে এলে তিনি যে দু হাত তুলে সমর্থন করবেন, সেকাথাও অবলীলায় জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।