নয়াদিল্লি: ভোটযুদ্ধে একের পর এক লজ্জাজনক পরাজয়ের পর এবার আস্তিনের লুকনো তাসই খেলতে চলেছে মরিয়া কংগ্রেস। প্রিয়ঙ্কা ভঢরাকে সামনে রেখে আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সনিয়া গাঁধীর সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বুধবার দলের সাধারণ সম্পাদক গুলাম নবি আজাদ প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে তাঁর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব রাখেন। কংগ্রেস সূত্রে পাওয়া খবর, তাতে রাজি হয়েছেন রবার্ট ভঢরা ঘরণী। কংগ্রেসের আশা, প্রিয়ঙ্কার ক্যারিশমা ও গ্ল্যামার দিয়ে তারা গোবলয়ের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে দলের হাল কিছুটা হলেও ফেরাতে সক্ষম হবে।


কংগ্রেস সূত্রে আরও খবর, রাজ্যের পরিস্থিতি জানতে দলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রিয়ঙ্কা। বৈঠকে বসছেন গুলাম নবি আজাদের সঙ্গেও। আজাদ গত সপ্তাহেই জানিয়েছেন, এবার আর তাঁর প্রচার শুধু রাহুল ও সনিয়ার কেন্দ্র রায়বরেলী আর আমেঠিতে সীমিত থাকবে না, পাকাপাকিভাবেই ভোটের ময়দানে নামতে চলেছেন তিনি। এ জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে দিল্লিতে ডেকেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড, যাতে প্রিয়ঙ্কার রাজনীতির ময়দানে আগমন চোখে পড়ার মত হয়। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী মাস থেকেই প্রচার শুরু করবেন তিনি। তবে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে কিনা, কংগ্রেস সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলেনি। উত্তরপ্রদেশে দলের রণকৌশল যিনি স্থির করছেন, সেই প্রশান্ত কিশোরের ধারণা, প্রিয়ঙ্কা ভোটের ময়দানে পুরোপুরি অবতীর্ণ হলে দলের ভাগ্য খুলে যাবে।

এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, অন্তত ১২০টি কেন্দ্রে প্রচার চালাবেন প্রিয়ঙ্কা। রাহুল গাঁধীর যেভাবে ইমেজ মেকওভার হয়, সেভাবে তাঁরও ইমেজ তৈরির জন্য কংগ্রেস প্রথমে কোনও পেশাদার এজেন্সির সাহায্য নেওয়ার কথা ভেবেছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকি নাকচ করে দেন প্রিয়ঙ্কা নিজেই। তবে এত কিছুর মধ্যেও কংগ্রেসের অন্দরে খচখচ করছে রবার্ট ভঢরার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে ধিংড়া কমিটি রিপোর্টের কাঁটা। প্রিয়ঙ্কা তাস পুরোপুরি খেলার আগে কংগ্রেস দেখে নিতে চায়, ওই রিপোর্টে ভঢরার বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে। রাহুল এখনও দেশের বাইরে। তিনি ফিরলে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি নতুন করে গঠন করতে চায় শতাব্দী প্রাচীন দলটি। নতুন সভাপতিও তখন মনোনীত করা হবে।