কয়েকজন পড়ুয়া অন্যদের পরীক্ষায় বসতে বাধা দিচ্ছিলেন, দাবি জেএনইউ-এর সহ-উপাচার্যর
Web Desk, ABP Ananda | 07 Jan 2020 05:52 PM (IST)
তাঁর আরও দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের যোগসাজশ রয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিও নিন্দাজনক।
নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার ঘটনার নিন্দা করলেও, একইসঙ্গে পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে অন্যদের পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনলেন সহ-উপাচার্য চিন্তামণি মহাপাত্র। তাঁর আরও দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের যোগসাজশ রয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিও নিন্দাজনক। এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জেএনইউ-এর সহ উপাচার্য বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশকে ডাকা ও না ডাকা, দু’টি বিষয় নিয়েই দ্বিমত রয়েছে। তবে ঘটনার দিন পুলিশকে ঠিক সময়েই ডাকা হয়েছিল। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তাঁদের দাবিও মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু বিভোক্ষকারীরা আদালতের নির্দেশ মানেন না। পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে মারামারি হলে আমরা কী করব? দিল্লি পুলিশ রবিবারের ঘটনার তদন্ত করছে। কারা সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হিংসা ছড়ায়, সেটা তদন্ত রিপোর্ট এলেই জানা যাবে।’ জেএনইউ-এর সহ উপাচার্য আরও বলেছেন, ‘এখন রেজিস্ট্রেশনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া যখন অনলাইনে করা হল, তখন সিস্টেমই ধ্বংস করে দেওয়া হল। জরিমানা ছাড়াই ১২ তারিখ পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। জেএনইউ-এর ক্যাম্পাসে যে কেউ চলে আসতে পারে। তাই কারা মুখ ঢেকে হামলা চালিয়েছে, সেটা বোঝা মুশকিল। আমাদের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে অস্ত্র থাকে না। তাদের মারধর করে মুখ ঢাকা ব্যক্তিরা ভিতরে ঢুকে পড়ে। তারা সিসিটিভিও ভেঙে দেয়। পড়ুয়ারা হস্টেলে সিসিটিভি লাগাতে বাধা দিচ্ছে। যে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তার ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে। তদন্তে এক-দু সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পুলিশ থাকবে।’