গোয়েন্দাদের ধারণা, উপত্যকায় অশান্তি বজায় রাখতে অন্তত ২৪ কোটি টাকা ঢেলেছে পাকিস্তান। জামাত ই ইসলামি ও দুখতেরান ই মিলাতের মত পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংস্থাগুলোর হাত ধরে ঢুকেছে বেশিরভাগ টাকা। প্রাথমিক তদন্তে পরিষ্কার, ওই টাকা সঙ্গে সঙ্গে বিলি হয়েছে উপত্যকার বহু নাগরিকের মধ্যে। কীভাবে ওই অর্থ উপত্যকায় আসে আর তা হাতে হাতে বিলি হয়, এনআইএ তা তদন্ত করে দেখছে।
তবে গোয়েন্দাদের সবথেকে বড় আশঙ্কা, উপত্যকায় অশান্তি এখন থামবে না, বরং পুরোদমে চলবে। নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর হামলা চালানোর জন্য কাশ্মীরী যুবকদের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ভারত ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানের সহায়তায় লস্কর ই তৈবা ও জামাত উদ দাওয়ার মত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি কাশ্মীরে হিংসা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ধৃত লস্কর জঙ্গি বাহাদুর আলি স্বীকারও করে নিয়েছে, পাকিস্তানে ঘাঁটি গাড়া জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছে সে, ভিড়ের মধ্যে মিশে নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলা চালানোর জন্য কাশ্মীরে পাঠানো হয় তাকে।