চেন্নাই: তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ একদিন আগেই খারিজ করে দিয়েছেন লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক রিচার্ড বিয়ালে, অ্যাপোলো হাসপাতাল ও সরকারি চিকিত্করা। পনিরসেলভমকে সরিয়ে প্রয়াত এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার  ঘনিষ্ঠ সহযোগী শশীকলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এরইমধ্যে শশীকলার বিরোধিতা করে আম্মার মৃত্যু  নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন এআইএডিএমকে-রই এক শীর্ষ নেতা। তামিলনাড়ু বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার পি এইচ পান্ডিয়ানের দাবি, জয়ললিতাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আম্মাকে যেদিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেদিন রাতে তাঁর বাসভবন পোয়েজ গার্ডেনে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। ওই বাড়িতে যে পরিবার থাকতেন, তাঁদের সঙ্গেই জয়ললিতার কটাকাটাকাটি হয়েছিল বলে অভিযোগ পান্ডিয়ানের। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পান্ডিয়ান সরকারি শশীকলার পরিবারের দিকেই আঙুল তুলেছেন। পোয়েজ গার্ডেনে জয়ললিতার সঙ্গেই থাকতেন শশীকলার পরিবার। পান্ডিয়ানের দাবি, ঝগড়া সময় জয়ললিতাকে ধাক্কা মারা হয়। এরফলে তিনি মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান।


পান্ডিয়ানের অভিযোগ, সেদিন রাতের ঘটনার কথা সংবাদপত্রগুলিতেও প্রকাশিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর জয়ললিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ৫ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর।

জয়ললিতার মৃত্যু ঘিরে গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পান্ডিয়ান, প্রয়াত নেত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির আগের ঘটনা সম্পর্কেও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। বাড়িতে যাঁরা ছিলেন তাঁদেরকে সামিল করেই এই তদন্ত করতে হবে বলে পান্ডিয়ান দাবি করেছেন।

জয়ললিতাকে হাসপাতালে ভর্তি ও তাঁর মৃত্যুর এতদিন কেটে যাওয়া পর্যন্ত তিনি কেন চুপ ছিলেন, তা জানতে চাওয়া হলে পান্ডিয়ান বলেছেন, গত দুদিন ধরে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে যে অবস্থা দেখা দিয়েছে তাতে তিনি অস্বস্তি বোধ করছেন। এই অবস্থার কারণেই তিনি জয়ললিতার মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন সত্যঘটনা স্বীকার করার তাগিদ বোধ করেছেন।