কাশ্মীর:  নৃশংস জঙ্গি হামলায় শুক্রবার কাশ্মীরে মৃত্যু হয়েছে এক এসএইচও সহ ৬ পুলিশকর্মীর। এই হামলার বদলা নিতে বদ্ধপরিকর বারামুলার সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ ইমতিয়াজ হুসেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, তাঁর সহকর্মী সাব ইনস্পেক্টর ফিরোজ আহমেদ ডর সহ ছয় পুলিশকর্মীর মৃত্যু জন্য দায়ী জঙ্গি দলটিকে তারা ধুয়ে-মুছে সাফ করে দেবেন।





গতকাল দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে পুলিশ দলের ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়। নিহত হন ছয় পুলিশ কর্মী। অনন্তনাগের আচাবল এলাকায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলিবৃষ্টি করে পুলিশদের লক্ষ্য করে।।

এবছরে সেখানকার রাজ্য পুলিশের ওপর এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। জিপে এলাকা টহল দিতে বেরিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে ছিল না বুলেটপ্রুফ গাড়ি। সেই সুযোগেই তাঁদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ছয় পুলিশ কর্মীরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। পুলিশ কর্মীদের মুখ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। একজনের পা পর্যন্ত নৃশংসভাবে ছিঁড়ে নেয় জঙ্গিরা। তারপর সেখান থেকে নিহত পুলিশকর্মীদের অস্ত্র নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় জঙ্গি দলটি।

এই ঘটনার পর অনন্তনাগের ডেপুটি কমিশনারও জানান, ফিরোজ রাজ্য পুলিশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিবান অফিসার ছিলেন। ফিরোজের মৃত্যু অপূরণীয়।

প্রসঙ্গত, গতকালই কুলগাম জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় লস্কর জঙ্গি জুনেইদ মাট্টু সহ তার এক সহকারীর। মনে করা হচ্ছে সেই ঘটনার বদলা নিতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। কারণ লস্কর কম্যান্ডারের মৃত্যুর কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশরে ওপর হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এর দায় স্বীকার করে নেয় লস্কর। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ঘটনাস্থলে হামলা চালানোর সময় প্রায় ডজনখানেক জঙ্গিরা একসঙ্গে ছিল। কিন্তু অমরনাথ যাত্রার সময় এভাবে এতসংখ্যক জঙ্গি একসঙ্গে সাধারণত ঘুরতে পারে না। চারিদিকে কড়া নজরদারি থাকে। সেই নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে এতজন জঙ্গি একসঙ্গে জমায়েত করল, তা নিয়েই দ্বন্দ্বে পুলিশ।