নয়াদিল্লি: ইসলাম ধর্মগুরু মহম্মদ ও তাঁর উত্তরাধিকারীরা কখনও মাংস খাননি। তাঁরা মনে করতেন, মাংসভক্ষণ একটি অসুখ। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।


আরএসএসের মুসলিম শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের আমন্ত্রণে জামিয়া মিলিয়ায় একটি ইফতার পার্টিতে যান ইন্দ্রেশ। সেখানেই তিনি বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ দেশের মুসলমানদের কাছে তিনটি আবেদন রেখেছে। প্রথমত, রমজানের সময় তাঁদের নিজের নিজের এলাকায় গাছ লাগানো উচিত। গাছ লাগানো হোক, রাস্তাঘাট, মসজিদ ও দরগা চত্বরে যাতে দূষণ কমানো যায়, করা যায় পরিবেশ সংরক্ষণ। দ্বিতীয়ত, বাড়িতে তাঁরা রাখুন তুলসি গাছ কারণ তুলসিকে আরবীতে বলে রেহান বা জন্নত কি ঝাড়। এর ফলে স্বর্গ পাওয়া সম্ভব। আর তৃতীয়ত, মহম্মদ ও তাঁর উত্তরাধিকারীরা কেউ মাংস খেতেন না। মাংসভক্ষণ অসুখ ছাড়া কিছু নয়। আর দুধ হল সেই অসুখের চিকিৎসা। তাই ভারতীয় মুসলিমদেরও মাংস ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

তাঁর আরও বক্তব্য, ভারতীয় মুসলিমদের উচিত, ইসলামকে সুন্দর করার জন্য যুদ্ধ করা, তাকে অনাকর্ষণীয় করে তোলা নয়।

তবে আরএসএস নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণের বিরোধিতায় একশ্রেণির পড়ুয়া পুলিশের সঙ্গে মারামারি শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের মারধর করে আটক করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তালাত আহমেদের ইন্দ্রেশের সঙ্গে এক মঞ্চে বসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অনুপস্থিত থাকেন।