শ্রীনগর: কার্ফু অগ্রাহ্য করে ফের অশান্ত কাশ্মীর। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কাশ্মীরের নানা জায়গায় শুক্রবার রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। নাওহাট্টার জামিয়া মসজিদে মিছিল  করে যাওয়ার চেষ্টা করায় প্রথম সারির বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের হেফাজতে নেয় প্রশাসন। কট্টরপন্থী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মধ্যপন্থী মিরওয়াইজ ওমর ফারুককে অশান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় আগাম আটক করে পুলিশ। তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপত্যকা। সংঘর্ষে জখম হয় অন্তত ২০ জন।

৯ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার পর থেকে তেতে রয়েছে কাশ্মীর। টানা হিংসা, অশান্তির পর পরিস্থিতি খানিকটা ভাল হওয়ায় একমাত্র অনন্তনাগ বাদে উপত্যকার বাকি সর্বত্র কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবারও গরম হয়ে উঠল পরিস্থিতি।

 

 

বারামুলার রোহামায় মারমুখী জনতা নতুন তৈরি হওয়া একটি পুলিশের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সোপিয়ানে নিরাপত্তাবাহিনীকে নিশানা করে পাথর ছোঁড়া চলছিল। সেখানে গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। তবে সেটি ফাটেনি। কুপওয়ারার গুসি ব্রিজের কাছে পাথর ছোঁড়া যুবকদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। জখম হয় তিনজন। সংঘর্ষে কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী সহ আরও ১৭ জন আহত হয় সোপিয়ান, অনন্তনাগ, বিজবেহরা, বান্দিপোরা, বারামুলা, সোপোর, গান্দেরবল, কঙ্গনে।

পরিস্থিতি হাতের মধ্যে রাখতে দক্ষিণ কাশ্মীরের চারটি জেলা ও শ্রীনগর শহরে ফের কার্ফু জারি করা হয়। চারটি জেলা হল অনন্তনাগ, কুলগাম, পুলওয়ামা ও সোপিয়ান।

 

এদিকে নয়াদিল্লিতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক এক আলোচনায় কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, কাশ্মীরের কিছু জায়গায় ‘চরমপন্থী মানসিকতা’র কিছু লোকজন সেখানকার পরিস্থিতি উন্নত করায় সরকারের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরা ‘জাতীয় মূল ভাবনার সম্পূর্ণ বাইরে রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন রিজিজু।  তিনি বলেছেন, যে কোনও বিরুদ্ধ  জনমতই বিরাট বাধার সৃষ্টি করে। তাকে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। সুতরাং যে কোনও সরকারের কাছেই একটি ইতিবাচক সাড়া মেলার মতো সমাজ তৈরি করা জরুরি।