নয়াদিল্লি: সংস্কৃত বিভাগে একজন মুসলিম অধ্যাপক নিয়োগ ঘিরে অচলাবস্থা বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএইচইউ)। গত দুপস্তাহ ধরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল পড়ুয়ারা। ধর্না ছেড়ে পড়ুয়াদের ক্লাস শুরু করার পরামর্শ কর্তৃপক্ষের।
আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, মুসলিম অধ্যাপকের নিয়োগের বিরুদ্ধে তাঁদের এই প্রতিবাদ নয়। তাঁদের আপত্তি, হিন্দু ধর্মের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এক বিষয়ে অ-হিন্দু অধ্যাপক নিয়োগের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ফিরোজ খান। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, ওই নিয়োগ খারিজ করে পুনরায় নতুন করে ওই বিভাগে একজন হিন্দু অধ্যাপককে নিয়োগ করতে হবে।
এই দাবি নিয়ে গত দুসপ্তাহ ধরে উপাচার্যের দফতরের বাইরে অবস্থান-ধর্নায় বসেছেন পড়ুয়ারা। আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁরা এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। এরমধ্যেই, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নিজ বাসভবনে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, বিএইচইউ আইন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতি অনুসরণ করেই এই নিয়োগ করা হয়েছে।
এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে বিএইচইউ-এর তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ৫ নভেম্বর উপাচার্য রাকেশ ভাটনগরের নেতৃত্বে সিলেকশন কমিটি মিলিত হয়ে সেরা প্রার্থীকেই অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ করে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে উপাচার্য পড়ুয়াদের মনে করিয়ে দেন-- ধর্ম, জাত, বর্ণ, সম্প্রদায়ের বিভেদ ও বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের কল্যাণে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ বিএইচইউ।
এদিকে, যে অধ্যাপকের নিয়োগকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত, সেই ফিরোজ খান রাজস্থানের বাগরুতে রাজকীয় সংস্কৃত বিদ্যালয় থেকে ওই ভাষায় পড়াশোনা করেছেন। পরে, ওই রাজ্যের একটি ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। তাঁর বাবাও সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং একটি মন্দিরে ভজনশিল্পী হিসেবে যোগও দেন।