নয়াদিল্লি: নোট বাতিলের প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বামেরা। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বনধ্ ডাকা হয় ত্রিপুরা, কেরলেও। দেশজুড়ে ‘জন আক্রোশ দিবস’ পালন করে বিরোধীরা। ধর্মঘটের প্রভাব ব্যাপকভাবে না পড়লেও কোথাও কোথাও কিছুটা হলেও স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে।

কেরল এবং ত্রিপুরার পথে নেমে প্রতিবাদ করে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। প্রতিবাদে অংশ নেয়নি জেডি(ইউ) এবং বিজেডি। কেরলে নোট বাতিলের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকে সিপিআই(এম) চালিত এলডিএফ। বনধের জেরে মোটামুটি ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। ঝাঁপ বন্ধ ছিল দোকানগুলির। রাস্তায় যানবাহন চলাচল অনেকটাই কম ছিল। সরকারি ও বেসরকারি বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সভা, মিছিল করে বামেরা।

পুলিশ জানিয়েছে, তামিলনাড়ুতে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের সামনে ডিএমকে-র নেতৃত্বে বিভিন্ন বিরোধী দলের কয়েকশো সদস্য প্রতিবাদ সভায় যোগ দেয়। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হন ডিএমকে কোষাধ্যক্ষ এমকে স্তালিন, সিপিআই-এম এবং সিপিআই-এর সিপিআই-এর স্টেট সেক্রেটারি জি রামকৃষ্ণন এবং আর মুথারাসন সহ দলের বহু নেতা। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রের ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে সবথেকে ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, যতদিন না নতুন টাকা পর্যাপ্ত পরিমানে না আসছে, ততদিন পুরোনো নোট ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হোক।

কর্নাটকে নোট বাতিল ইস্যুতে প্রতিবাদ মিছিল করে শাসক দল কংগ্রেস। বেঙ্গালুরুতে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি বনধের। স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্ক, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সব স্বাভাবিক ছিল। যান চলাচল এবং মেট্রো সার্ভিসও ছিল প্রতিদিনের মতোই। মহারাষ্ট্রতেও বনধের ছবি চোখে পড়েনি। জনজীবন স্বাভাবিকই ছিল। বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের ছবিটারও কোনও পরিবর্তন হয়নি।

বনধের প্রভাব এ রাজ্যে বিশেষ একটা পড়েনি। কোথাও বিক্ষিপ্ত কিছু উত্তেজনার ঘটনা বাদ দিলে গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। দোকান পাট সব খোলাই ছিল। রাস্তাতেও ছিল পর্যাপ্ত পরিমানে যানবাহন। বনধ সমর্থন না করলেও পথে নেমে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল।

বিরোধীদের এই প্রতিবাদকে কার্যত ‘ফ্লপ শো’ বলে কটাক্ষ করল বিজেপি। বিজেপি বলে, মানুষ এই প্রতিবাদে সাড়া দেয়নি।