পুদুচেরি:  গত শনিবার বিকেলে যখন ছোট ভাই ও বোনের সঙ্গে টিভি দেখছিল, তখনও সে বুঝতে পারেনি যে, তার জীবনে নেমে আসবে এমন এক দুর্বিপাক। গত তিন বছর ধরে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে উত্যক্ত করে আসছিল সেন্থিল নামে এর গাড়ি চালক। কিশোরীর পরিবারের লোকজন চারবার পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেন্থিল ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করার চেষ্টা ছাড়েনি। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরী বারবার তাকে অগ্রাহ্য করায় ক্ষোভে ফুঁসছিল সে।

কিন্তু শনিবার যে সেন্থিল এমন একটা ভয়াবহ কিছু ঘটাবে তা কেউ বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। সেদিন ভাই ও বোনের সঙ্গে বাড়িতে টিভি দেখছিল। অন্যদিকে, বাড়ির বাইরে ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করছিল সেন্থিল। ওই কিশোরীর বাবা-মা বাইরে বেরোনোর পর দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে সে। নিমেষের মধ্যেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ওই কিশোরীকে জড়িয়ে ধরে সেন্থিল। নিশ্চিত মৃত্যুর গ্রাস থেকে ওই কিশোরী যাতে না বেরোতে পারে তা নিশ্চিত করতে প্রাণপণ শক্তিতে কিশোরীকে জড়িয়ে ধরে সে।

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেন্থিলের। কিশোরীকে ৭৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এক বছর আগে সেন্থিল অভিযোগ করেছিল যে, ওই কিশোরীর বাবা-মা তাঁর ডান পা ও হাতে কোপ মেরেছেন। কিন্তু তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মদ্যপ অবস্থায় রেল লাইনে পড়ে গিয়ে হাত-পা কাটা যায় তার।

কিশোরীর বাবা পুরো ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, পুলিশ সেন্থিলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি।

উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই তামিলনাড়ুতে চেন্নাইের একটি স্টেশনে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী স্বাতীকে খুন করেছিল এক উত্যক্তকারী। এরপর ফের উত্যক্তকারীর হামলার ঘটনা ঘটল পুদুচেরিতে।