পুণে: কংগ্রেস এখনও দলীয় সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়া রাহুল গাঁধীর বিকল্প খুঁজে বের করতে পারেনি। এবার পুণের এক ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার শতাব্দী প্রাচীন দলের সভাপতি হওয়ার আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। গজানন্দ হোসালে নামে ২৮ বছর বয়সি ওই যুবক পুণেতে বেঙ্গালুরুর একটি ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্মের ম্যানেজার। ২৩ জুলাই তিনি কংগ্রেসের পুণে ইউনিটের সভাপতি রমেশ বাগওয়ের কাছে আবেদন জমা দেবেন।
হোসালে বলেছেন, রাহুল গাঁধী সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কংগ্রেস চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছে। কাকে সভাপতি করবে, বুঝতে পারছে না। এই প্রেক্ষাপটে আমি ওই পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে চাই। বর্তমান সময়ে দেশের জন্য কংগ্রেসের ‘পুনরুজ্জীবন’ প্রয়োজন বলে অভিমত জানিয়ে সেজন্য তরুণ নেতৃত্বের পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। হোসালে বলেন, রাহুল যেমন বলেছেন, দলের তরুণ নেতা দরকার, তেমনই আমার মনে হয়, কংগ্রেসের চাই এমন একজন সভাপতি যিনি শুধু অল্পবয়সিই নন, চিন্তাভাবনা ও মনেও হবেন তরুণ।
কংগ্রেসের বর্তমানে কোনও সভাপতি না থাকায় একাধিক কর্মী দল ছাড়ছেন এবং সেজন্যই দলের সামগ্রিক নির্বাচনী পারফরম্যান্স মার খাচ্ছে বলেও অভিমত জানিয়েছেন হোসালে।
রাজনীতিতে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতা আছে বা কোনও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে কোনও উদ্দেশ্য সামনে রেখে তিনি কিছু করেছেন কিনা, জানতে চাওয়া হলে অবশ্য নেতিবাচক জবাবই দেন তিনি। যদিও হোসালের দাবি, তিনি গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন এবং বহু ইস্যুতে সরকারি কর্তাদের মোকাবিলা করেছেন তিনি। হোসালে জানিয়েছেন, তিনি কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যও নন, অতীতেও কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। তিনি বলেছেন, সভাপতি পদের জন্য আবেদন জানানোর আগে অবশ্য দলের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব। কিন্তু তিনি কি দলে সামিল হয়ে কাজ করতে পারেন না? হোসালের বক্তব্য, একেবারে সাধারণ কর্মী বা নেতা হয়ে কাজ শুরু করলে কোণঠাসা হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।
তিনি বলেন, কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে আমি স্বচ্ছতায় জোর দেব এবং সুযোগ পেলে বর্তমান সঙ্কট থেকে দলের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে পারব বলে নিশ্চিত। তার ব্লুপ্রিন্টও আছে আমার কাছে। মার্কস, গাঁধী ও অম্বেডকরের উল্লেখ করে তাঁর দাবি, এইসব মণীষীর মতবাদ ব্যবহার করে ভারত কল্যাণকামী রাষ্ট্র হতে পারে।