পুণে: এক কোটি টাকারও বেশি দাম দিয়ে সোনার জামা কিনে হইচই ফেলে দেওয়া পুণের ব্যবসায়ী দত্তা ফুগে ছেলের সামনেই খুন হলেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সপুত্র আমন্ত্রিত ছিলেন এই ব্যবসায়ী। সেখানেই তাঁকে খুন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, আর্থিক লেনদেন নিয়ে গোলমালের জন্যই খুন করা হয়েছে ফুগেকে।

 

দিঘি থানার ইন্সপেক্টর নবনাথ ঘোগারে বলেছেন, এক সন্দেহভাজনই ফুগে ও তাঁর পুত্রকে ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তাঁরা পূর্ব পরিচিত ছিলেন। রাত ১১.৩০ মিনিট নাগাদ সেখান থেকে ফেরার সময় ফুগেকে আক্রমণ করে ১২ জন। তাঁকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে একটি খোলা মাঠে নিয়ে গিয়ে ধারাল অস্ত্র ও পাথর দিয়ে মারা হয়। ঘটনাস্থলেই এই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।

 

ফুগে সবসময় সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করতেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে কীভাবে খুন করা সম্ভব হল সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তাছাড়া তাঁর পুত্রকে রেহাই দেওয়া হয়েছে। ফলে এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে আটক করা হয়েছে।

 

২০১২ সালে ১.২৭ কোটি টাকা দিয়ে সাড়ে তিন কিলোগ্রাম ওজনের একটি সোনার জামা কিনে রাতারাতি সারা দেশে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন ফুগে। তাঁর স্ত্রী সীমা পিম্পরি-চিঞ্চাওয়াড় পুরসভার প্রাক্তন কর্পোরেটর। ফুগে মহাজনী কারবার এবং চিট ফান্ডের ব্যবসা করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এই ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলার জন্যই তাঁকে খুন হতে হল বলে পুলিশের সন্দেহ।

 

শুক্রবার সকালে ফুগের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।