পঞ্জাব: মারা গেলেন পঞ্জাবের প্রবীণ আরএসএস নেতা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জগদীশ গগনেজার। গত অগস্ট মাসে অজ্ঞাতপরিচয় বাইক-আরোহী দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন বছর ৬৮-র এই শীর্ষ আরএসএস নেতা। আজ লুধিয়ানার হিরো ডিএমসি হার্ট ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় তাঁর।
গত ৬ অগাস্ট মাসে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন গগনেজা। সন্ধ্যায় স্ত্রীকে নিয়ে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই জ্যোতি চক এলাকায় তাঁদের ওপর হামলা হয়। খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। মারাত্মক জখম হন গগনেজা। সংকটজনক অবস্থায় পটেল হাসপাতাল থেকে তাঁকে হার্ট ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়। গতকাল থেকেই তাঁর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। আজ সকাল ৯.১৬ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, মাল্টিপল্ অরগ্যান ফেলিওরের কারণেই মৃত্যু। নিরাপত্তার কারণে ওই হাসপাতালেই করা হয় পোস্টমর্টেম।
গগনেজা ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পঞ্জাবের সহ-সভাপতি। পঞ্জাবের আরএসএস-বিজেপিতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। পঞ্জাবে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনার অন্যতম মস্তিষ্ক ছিলেন গগনেজা। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে সংগঠনের প্রচারক ছিলেন তিনি। অবসরের পর পুরোপুরি যোগ দেন দলের কাজে। পরবর্তীতে পঞ্জাব আরএসএস-এ মুখ্য ভূমিকা নেন। সংগঠনে রাজ্যের সভাপতি ব্রিজ ভূষণ বেদীর পরই ছিল তাঁর স্থান।
গগনেজার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকাল থেকে হাসপাতাল চত্বরে ছিল দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড়। এসেছিলেন পঞ্জাব পুলিশের আধিকারিকরা। হাসপাতালে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন পঞ্জাবের রাজ্যপাল ভিপি সিংহ বাদনোর। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন বহু বিজেপি-আরএসএস সমর্থক। ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। ভিড় সামলাতে অ্যাম্বুলেন্সের চারদিকে মানব প্রাচীর গড়েছিল লুধিয়ানা পুলিশ।
গগনেজার মৃত্যু তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। এখনও অবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি। হামলাকারীদের ব্যাপারে তথ্য দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেছে রাজ্য পুলিশ।