চণ্ডীগড়: অবৈধ সম্পর্কের জেরে শাশুড়িকে খুন করল দুই পুত্রবধূ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবের কাপূরথালায়। অভিযুক্ত দুই মহিলা তাদের প্রেমিককে দিয়ে শাশুড়িকে খুন করে। বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে বলে তারা এই খুনের ঘটনাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু দুই মহিলার বয়ানে খটকা লাগে পুলিশের। জেরায় ভেঙে পড়ে দুই মহিলাই অপরাধ কবুল করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বড় পুত্রবধূ রাজিন্দর কউরের সঙ্গে আঁচল নামে এক রঙের মিস্তির অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই সম্পর্কের কথা ছোট পুত্রবধূ রাজবীর কউর জানত। রাজবীরেরও অন্য একজনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দুজনের স্বামীই কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন।
দুই পুত্রবধূর এই অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন শাশুড়ি স্বরাজ কউর। এ কারণেই দুই মহিলা তাদের শাশুড়িকে খুন করার পরিকল্পনা করে। প্রায় সময়ই তারা শাশুড়ির খাবারে মাদক মিশিয়ে দিত বলে জানা গেছে। যে রাতে স্বরাজ খুন হন, সেই রাতে দুই পুত্রবধূ ও তাদের তিন সন্তান বাড়িতেই ছিল।
তিন শিশু জানিয়েছে যে, ঘটনার দিন তাদের একটি কামরাতে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
ওই পরিবারের আত্মীয়রাও জানিয়েছেন, ওই দুই মহিলার অবৈধ সম্পর্ক থাকার ব্যাপারে তাঁদেরও সন্দেহ তৈরি হয়েছিল।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি শাশুড়ি স্বরাজকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় দুই পুত্রবধূ। এরপর রাজিন্দরের প্রেমিক আঁচল ও তার এক শাগরেদ গোপী স্বরাজের মুখে বালিশ চেপে ধরে। পরে মাথায় লোহার রডের বাড়ি মারা হয়।
এরপরই দুই মহিলা বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে শোরগোল ফেলে দেয়। তারইমধ্যে তারা বাড়ির জিনিসপত্র এলোমেলো করে দেয়।
পুলিশ মৃত স্বরাজের ভাইয়ের বয়ানের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে। পুলিশ চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে।