নয়াদিল্লি:  আত্মঘাতী প্রাক্তন সেনাকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে দিনভর তোলপাড় দিল্লি।  দু’ দু’বার কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীকে আটক করল দিল্লি পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হল থানায়। আত্মঘাতী সেনাকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দিতে আপত্তি কেন? এটাই কি মোদীর নতুন ভারত? রাতে ছাড়া পাওয়ার পর  প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন রাহুল। তিনি আরও প্রশ্ন করেন, নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে তিনি কি কোনও ভুল করেছেন?

‘এক পদ, এক পেনশন’ ইস্যুতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী প্রাক্তন সেনা জওয়ান রামকিষণ গ্রেওয়াল! তাও খাস দিল্লিতে সরকারি ভবনের লনে! চরম অস্বস্তিতে মোদী সরকার। আর সেই জওয়ানের পরিবারের সঙ্গেই হাসপাতালে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হল না রাহুল গাঁধীকে।

রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের এক গেট থেকে আরেক গেট....পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঘুরে বেড়ালেন কংগ্রেস সহ সভাপতি! কিন্তু, দিল্লি পুলিশ তাঁকে দেখা পর্যন্ত করতে দিল না! এমনকি মৃত প্রাক্তন সেনা জওয়ানের পরিবারও যাতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, তার জন্য তাঁদেরও আটকানো হয় বলে অভিযোগ! যা নিয়ে হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত অবস্থাতেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন রাহুল গাঁধী।

 এরপর রাহুলকে মন্দির মার্গ থানায় আটক করে রাখা হয়।

রাহুল যখন থানায় আটক, তখন থানার বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কংগ্রেস।

একে একে হাজির হন কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষনেতা।

শেষপর্যন্ত ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে রাহুলকে ছেড়ে দেয় দিল্লি পুলিশ!

কিন্তু, সন্ধেয় ফের একবার আত্মঘাতী প্রাক্তন জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন রাহুল।তখন ফের তাঁকে এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সহ একঝাঁক কংগ্রেস নেতা-সমর্থককে হেফাজতে নিয়ে থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ!এক পদ এক পেনশন ইস্যুতে হাসপাতালে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য নিহত প্রাক্তন সমরকর্মীর ছেলেকে অন্য একটি পুলিশ থানা এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলে রাহুলকে আটক করে পুলিশ।একটি বাসে চাপিয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়। সোয়া আটটা নাগাদ তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

যেভাবে আত্মঘাতী জওয়ানের পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছে তার জন্য সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন রাহুল। তিনি বলেন, রামকিষণের পরিবার আত্মত্যাগ করেছে। আর তাঁদেরই কিনা আটক করা হচ্ছে। এটা একেবারেই অনুচিত।