নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশ সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই হিংসা কবলিত সাহারনপুরে যাওয়ার চেষ্টা করায় কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীকে ‘ট্র্যাজেডি ট্যুরিস্ট’ বলে কটাক্ষ করল বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা বলেছেন, ‘কংগ্রেস সরকার ব্যর্থ হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য মানুষের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো। রাহুল গাঁধী একজন ট্র্যাজেডি ট্যুরিস্ট। দেশের মানুষ রাহুল গাঁধী ও তাঁর দলকে বিশ্বাস করেন না।’ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুও রাহুলকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর দাবি, ছবি তোলার জন্যই সাহারনপুরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। তিনি যেখানেই ছবি তোলার সুযোগ থাকে, সেখানে ছুটে যান।


আজ সাহারনপুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন রাহুল। তবে তাঁকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসন সাহারনপুরের আগেই আটকে দেয় রাহুলকে। তবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে রাহুল বলেন, ‘বর্তমান ভারতে গরিব মানুষের স্থান নেই। উত্তরপ্রদেশে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। দেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সরকারের কর্তব্য। কিন্তু সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।’

রাহুলের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে শ্রীকান্ত বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে গত ১৫ বছর ধরেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সমস্যা আছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করার চেষ্টা করছে। পুলিশ বিভাগ ও সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে। এই সময় রাজনীতিবিদদের সাহারনপুরে যাওয়া উচিত নয়।

কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রী কলরাজ মিশ্রও রাহুলকে আক্রমণ করে বলেছেন, সাহারনপুর এখন বর্তমানে সংবেদনশীল অঞ্চল হয়ে উঠেছে। সামাজিক সংহতির উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। এই সময় রাহুলের সফর পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে। তিনি সেখানে গেলে ফের সারা দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা আছে। তাই রাহুলের সাহারনপুরে যাওয়া উচিত নয়। মায়াবতী গিয়েছিলেন বলেই রাহুলকেও যেতে হবে, এর কোনও মানে নেই।