মুম্বই: রাহুল গাঁধীর ভূয়সী প্রশংসা শিবসেনার। উদ্ধব ঠাকরের দল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়ে রাহুলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলল, ‘দিল্লির শাসকরা’  তাঁকে ভয় পায়। রাহুলকে যোদ্ধা’ তকমা দিয়েছে তারা।


শিবসেনা মুখপত্র সামনা-র সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছেরাহুল কংগ্রেস সভাপতি হচ্ছেনএটা ভাল। সেখানে বলা হয়েছেদিল্লির শাসকরা রাহুল গাঁধীকে ভয় পায়। তা যদি না হততবে গাঁধী পরিবারের বদনাম করার প্রচারঅভিযান চলত না।  একজন লোকও যদি তাঁর বিরুদ্ধে রুখে ওঠেতাহলে এক স্বৈরাচারীও ভীত বোধ করে। আর সেই একলা যোদ্ধা সত্ হলে সেই ভীতি কয়েকশ গুণ বেড়ে যায়। দিল্লির শাসকদের রাহুল ভীতি এই পর্যায়ে পড়ে। এটা ভাল ব্যাপার যে রাহুল আবার কংগ্রেস সভাপতি হচ্ছেন। এটা মেনে নেওয়া উচিত যেবিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদির কোনও বিকল্প নেইতেমনই কংগ্রেসের রাহুল ছাড়া গতি নেই। রাহুল দুর্বল নেতা বলে এত প্রচার হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনও সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সুযোগ পেলেই সরকারকে আক্রমণ করছেন।

সেইসঙ্গে দেশের বিরোধী শিবির কোনও এক সময়ে ফিনিক্স পাখীর মতো ভস্ম থেকে আবার জেগে  উঠবে বলেও দাবি করেছে শিবসেনা।

সম্প্রতি শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইউপিএ শিবিরের পরিধির বিস্তার ঘটানোর ডাক দিয়ে বলেছেনকেন্দ্রের  একনায়কতন্ত্রী মনোভাবের বিরুদ্ধেমোদি সরকারের সামনে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প  হাজির করতে বিরোধীদের একজোট হওয়া উচিত। তার এক পক্ষকালের মধ্যেই শিবসেনা এভাবে রাহুলের প্রশংসায় সরব হল।

যদিও সামনের মাসের ঔরঙ্গাবাদ পুরসভা নির্বাচনের মুখে মহারাষ্ট্রের শাসক জোট মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদির দুই শরিক শিবসেনা ও কংগ্রেসের বিরোধ চরমে উঠেছে শহরের নাম বদলের ইস্যুকে কেন্দ্র করে। শিবসেনা চায়ঔরঙ্গবাদের নাম বদলে মারাঠা যোদ্ধার স্মরণে শম্ভাজিনগর করা  হোক। পাল্টা একাধিক কংগ্রেস নেতা এতে তীব্র আপত্তি তুলেছেন।

পাশাপাশি কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের পিছনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেও শিবসেনার মুখপত্রে বলা হয়েছেরাহুল দলের সভাপতি পদ গ্রহণে সম্মতির ইঙ্গিত দেওয়া মাত্র তাঁর শ্যালক রবার্ট বঢরার বাড়িতে আয়কর দপ্তর হানা দিয়েছে। এটা  ‘নিছক কাকতালীয়’ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।