নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এখন ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’।কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর এই মন্তব্যের জেরে উত্তাল লোকসভা।বিজেপির মহিলা সাংসদরা একসুরে ঝাড়খণ্ডের ভোটের প্রচার সভায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির মন্তব্যের নিন্দায় সরব হন। তাঁরা রাহুলের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানান। বিজেপির মহিলা সাংসদদের দাবি, রাহুল গাঁধীর এই মন্তব্য লজ্জাজনক।
এই ঘটনা ঘিরে গণ্ডগোলের জেরে লোকসভা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মুলতুবী হয়ে যায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাহুলের সমালোচনা করে বলেন, এই মন্তব্যের মাধ্যমে মহিলাদের অপমান করা হয়েছে। গাঁধী পরিবারের সদস্যের এই মন্তব্য লজ্জাজনক।
স্মৃতি ইরানি অধ্যক্ষের কাছে রাহুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।


রাজ্যসভাতেও কয়েকজন সাংসদ 'রাহুল গাঁধী মাফি মাঙ্গো' স্লোগান দেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, সভার সদস্য নন, এমন কারুর নাম নেওয়া যায় না।
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, মেক ইন ইন্ডিয়া এখন রেপ ইন ইন্ডিয়া হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রী বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও-এর কথা বলেন, কিন্তু তিনি বলেননি এই বেটিরা কাদের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে?
তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে বিজেপির এক বিধায়ক একজন মহিলাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই মহিলা পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।

সংসদে বিজেপির রাহুলকে নিশানা করার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ নিয়ে মোদির পুরনো মন্তব্য তুলে ধরে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। রণদীপ সুরজেওয়ালা ট্যুইট করে বলেন, ‘মোদিজি অতীতে আপনিই বলেছিলেন দিল্লি ধর্ষণ রাজধানী।‘তার জন্য আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত’
সুরজেওয়ালা দাবি করেন, ‘দেশের অরাজকতা থেকে চোখ ঘোরানোর কৌশল।আপনি নিজেই সংসদ চলতে দিচ্ছেন না।’
এই প্রসঙ্গে রাহুল গাঁধী বলেন, তাঁর ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। ওয়েনাড়ের সাংসদের দাবি, জ্বলন্ত ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘোরাতেই তাঁর মন্তব্য নিয়ে হৈচৈ করা হচ্ছে। রাহুল বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদিও একবার দিল্লিকে রেপ ক্যাপিটাল বলেছিলেন’।


কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মোদির ভাষণের একটি পুরানো ভিডিও  ট্যুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, 'আমার ফোনে একটি ক্লিপ রয়েছে, যেখানে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিকে রেপ ক্যাপিটাল বলছেন।'

রাহুল আরও বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া। কিন্তু আজ যেখানেই দেখা যায়, সেখানেই ধর্ষণ হচ্ছে। মেক ইন ইন্ডিয়া, রেপ ইন ইন্ডিয়াতে বদলে গিয়েছে।’