নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত গোটা দেশ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, আগ্রা থেকে অসম সর্বত্রই কম বেশি এই উত্তাপের আঁচ লেগেছে। দেশের সবথেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ যেমন এই আইনের বিরোধিতায় উত্তাল হয়েছে তেমনই বিক্ষোভে, প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়েছে অসম, ত্রিপুরাও। বিশেষ করে অসম, যেখানে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি জটিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আগেই উত্তরপূর্ব ভারতের এই রাজ্য ‘ক্ষতবিক্ষত’ নাগরিকপঞ্জিকরণে। ১৯ লাখেরও বেশি মানুষের নাম বাদ পড়েছে। তার মধ্যে ১২ লাখই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এদের কেউই নিজেদের নাগরিক প্রমাণ করতে পারেনি। এই আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করেছে সিএএ। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় প্রতিবাদ জোরাল করতে পথে নামছে কংগ্রেস। যেখানে নেতৃত্ব দেবেন খোদ রাহুল গাঁধী।


শনিবার অসমে সংশোধিত নাগরিক আইনের প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল। তার আগে নাগরিকপঞ্জিকরণ, সংশোধিত নাগরিক আইন ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধকরণ নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে একহাত নিলেন তিনি। দেশে কোনও শরণার্থী শিবির হচ্ছে না, মোদির এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে রাহুলের তোপ, “আরএসএস এর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে মিথ্যা কথা বলছেন।” অসমের মাতিয়াতে শরণার্থী ক্যাম্প করা হচ্ছে বলে দাবি রাহুলের। আরও একধাপ এগিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “সরকার এনপিআর ছদ্মবেশে আসলে এনআরসি নিয়ে আসছে।” কেন্দ্র সরকারকে এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্যও আর্জি জানিয়েছেন তিনি।


শুধু রাহুল গাঁধীই নন। সনিয়া পুত্রের সুরে সুর মিলিয়ে বিজেপি-কে বিঁধেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় মাকেনও। তাঁরও একই বক্তব্য, কেন্দ্র এনপিআর এর নামে আসলে এনআরসি চালু করতে চাইছে। অজয় মাকেন বলেন, সরকার এনআরসি করে দ্বি-জাতি তত্ত্বের বিষবৃক্ষ বুনছে এবং সমাজকে দ্বিখণ্ডিত করতে চাইছে, কংগ্রেস এর প্রতিবাদ করবে। মোদি সরকার নাগরিকের আধার নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোবাইল নম্বর, ভোটার কার্ড চাইছে, এটা গোপনীয়তার অধিকারের উল্লঙ্ঘন বলেও তোপ দেগেছেন মাকেন।