নয়াদিল্লি: বিজেপি বলছে, ২০১৯-এ তাদের ওপরই আস্থা রাখবে দেশের মানুষ। যদিও এনডিএ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন নিয়ে একমঞ্চে আসতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে এবিপি আনন্দ-লোকনীতি সিএসডিএসের সমীক্ষকদের তরফে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, কালই লোকসভা নির্বাচন হলে, কাকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে দেশ?
দেখা যাচ্ছে, গত বছরের মে মাসে করা সমীক্ষায় নরেন্দ্র মোদীর ওপরেই আস্থা রেখেছিলেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। কিন্তু বারো মাসের মধ্যে সেটাই কমে হয়েছে ৩৪ শতাংশ!! অর্থাত, মোদীর জনপ্রিয়তা কমেছে দশ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১৭ সালের মে মাসে করা সমীক্ষায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ। কিন্তু মোদী সরকারের ৪ বছরের মাথায় কংগ্রেস সভাপতির সেই জনপ্রিয়তাই হু হু করে বেড়েছে! এখন ২৪ শতাংশ মানুষ বলছেন, রাহুলই তাঁদের প্রাইম মিনিস্টার চয়েস! অর্থাত, তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ১৫ শতাংশ!!!
মোদী সরকারকে হঠাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বারবার উঠে আসছে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের কথা।তৃণমূল দাবি করছে, মমতাই হবেন মধ্যমণি। এই পরিস্থিতিতে সমীক্ষা বলছে, এই মুহুর্তে দেশের তিন শতাংশ মানুষ মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান।
১২ মাস আগে এটাই ছিল এক শতাংশ! মমতা-রাহুলের সঙ্গেই বুধবার কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মায়াবতীও।

এবিপি আনন্দ-লোকনীতি সিএসডিএসের সমীক্ষা অনুযায়ী, এই এক বছরে বহুজন সমাজ পার্টির সভানেত্রীর জনপ্রিয়তায় কোনও বদল আসেনি। গত বছরের মে মাসের মতো, এখনও তিন শতাংশ মানুষ তাঁকে দিল্লির কুর্সিতে দেখতে চান। অন্যান্য নেতাদের প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নেও ছবিটা একই আছে।
২০১৭ সালের মে মাসে ১৯ শতাংশ মানুষ বলেছিলেন, মোদী, রাহুল, মমতা, মায়াবতীর বাইরে অন্য কাউকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান। এবারের সমীক্ষাতেও সেই হার বদলায়নি।
প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁদের কাকে পছন্দ, গত মে মাসে ২৪ শতাংশ মানুষ তা বলতে চাননি।
কিন্তু ২০১৮ সালের মে মাসে সেটাই কমে হয়েছে ১৭ শতাংশ। অর্থাত, আরও বেশি করে মানুষ নিজেদের পছন্দের কথা খোলসা করেছেন।