নয়াদিল্লি: ২ বছরের ব্যবধানে ১৩ জুন আবার ইফতারের আসর বসাচ্ছে কংগ্রেস। রাহুল গাঁধী দলের সভাপতি হওয়ার পর প্রথম ইফতার পার্টির আয়োজন করেছেন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক নেতাকে। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রধান নাদিম জাভেদ ১৩ জুন দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে ওই ইফতার পার্টি বসছে বলে জানিয়েছেন। ২০১৫-য় শেষবার দলের তরফে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন তত্কালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।


প্রথামাফিক সব ধর্মের লোকজনের পাশাপাশি শীর্ষস্তরের কূটনীতিকদের বরাবর ইফতারে আমন্ত্রণ জানায় কংগ্রেস। তাদের এবারের ইফতার পার্টির দিকে কড়া নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন মাথায় রেখে বিরোধী শিবিরকে একজোট করার পরিকল্পনা সামনে রেখে এগচ্ছে কংগ্রেস। ইফতার সেই প্র্রক্রিয়া ঝালিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই বলে মনে করা হচ্ছে।

দিনকয়েক আগে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ফি বছরের রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনে করদাতাদের অর্থে ইফতারের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। সম্প্রতি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দেওয়া ইফতার পার্টি ঘিরে আলোচনা, বিতর্ক হয়েছে তাতে বিপুল আড়ম্বর, খরচের অভিযোগ ওঠায়।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও এবার ইফতার বসিয়েছিলেন। যদিও সেখানে গরহাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতারা। ২০১৬-র আগে নিয়মিত ইফতারের আসর বসাত কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ প্রতি বছরই উদ্যোগ নিতেন। বিরোধী পক্ষে থাকাকালে সনিয়াও ইফতার পার্টি দিতেন, যদিও ২০১৬ ও ২০১৭-য় কংগ্রেস ঠিক করে, ইফতার হবে না।