নয়াদিল্লি: দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীর।সুখদেব বিহার ফ্লাইওভারের কাছে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। ওয়েনাড়ের সাংসদের কাছে নিজেদের দুঃখদুর্দশার কথা জানালেন শ্রমিকরা।



রাহুল গাঁধীর আসার পর দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি অনিল চৌধুরী ও যুব কংগ্রেস সভাপতি অধ্যক্ষ শ্রীনিবাস শ্রমিকদের পাশে আসেন এবং তাঁদের গাড়িতে পাঠান।



এক শ্রমিক বলেছেন, রাহুল গাঁধী আমাকে জিগ্যেস করলেন, কোথায় যেতে হবে। আমি বললাম, গ্রামে যেতে হবে। ঠিকানা বললাম। এরপর তিনি বললেন, ঠিক আছে, ব্যবস্থা করে ওখান পর্যন্ত ছেড়ে দেব। আমরা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। আচমকা তিনি চলে এলেন। আমরা থেমে গেলাম আর কিছুক্ষণ কথাও হল।

অনিল চৌধুরী বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, ওই শ্রমিকদের হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। রাহুল গাঁধী আসেন ও তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলি। এরপর সহমতে আসা যায়, যে একসঙ্গে দুজনকে যেতে দেওয়া হবে। এখন আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দুইজনকে একসঙ্গে পাঠাচ্ছি।
এর আগে শনিবার রাহুল গাঁধী করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে গরিব, কৃষক ও শ্রমিকদের কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ন্যায় প্রকল্পের মতো আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি কেন্দ্র সরকারের কাছে আর্থিক প্যাকেজ পুণর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সরাসরি দরিদ্রদের অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠানোর কথা বলেছেন। একইসঙ্গে রাহুল বলেছেন, লকডাউন তুলে নেওয়ার পদক্ষের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নিতে হবে। বয়স্ক ও গুরুতর রোগে আক্রান্তদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। রাহুল বলেছেন, আর্থিক ব্যবস্থায় যে ‘ঝড়’ আসছে, তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।