নয়াদিল্লি: ভাল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যাবতীয় গুণ রাহুল গাঁধীর আছে বলে দাবি তেজস্বী যাদব। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতার অভিযোগ, কংগ্রেস সভাপতির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিজেপির প্রচার যন্ত্র কয়েক হাজার কোটি টাকা ঢেলেছে। যদিও দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, ২০১৯-এর নির্বাচনের পর বিরোধী মহাগঠবন্ধনের শরিকদের আলোচনাতেই তার মীমাংসা হতে পারে বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে কখনই প্রশ্ন, সংশয় ছিল না বলে জানিয়ে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, ওঁর বিরুদ্ধে এত নেতিবাচক প্রচারের পরও রাহুল সহনশীলনতা, দয়া, উদারমনস্কতার জন্য মানুষের হৃদয় জিতেছেন। তাঁর নেতৃত্বে তিন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের বিজয়ে দল ও ২০১৪-র নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে ভোট না দেওয়া ৬৯ শতাংশ ভোটার ভরসা পাচ্ছে। কিন্তু রাহুল কি ভাল প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন? তেজস্বী বলেন, সব গুণ আছে ওনার। উনি ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন দলের জাতীয় সভাপতি, গত ১৫ বছরের সাংসদ। ভুলে যাবেন না, দেশে ৫ রাজ্যে ওঁর দলের মুখ্যমন্ত্রীরা সরকার চালাচ্ছেন আর উনি ওঁদের নেতা। সুতরাং, ওনার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে কোনও সংশয়, প্রশ্নই নেই।
গত মাসেই কংগ্রেসের বড় শরিকদের অন্যতম ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিন প্রথম প্রকাশ্যে সওয়াল করেন, মোদি সরকারকে হটাতে বিরোধীদের অবশ্যই রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে তুলে ধরা উচিত। এজন্য তাঁর সমালোচনা হয়, কিন্তু নিজের মতে অটল স্ট্যালিন।
তবে রাহুল কি গোটা ভারতের বিরোধী মহাজোটের স্বাভাবিক পছন্দের নেতা, প্রশ্ন করা হলে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট ছেলের জবাব, ভারতে গণতন্ত্র চলে। লোকে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেন, যাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে একজনকে বেছে নেন। গণতন্ত্রে সবসময় কেন্দ্রে থাকে জনগণ, তা ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়। আমরা একনায়কতন্ত্রের সরকার চাই না। বর্তমানে বিজেপি ব্যক্তিপুজোর জ্বরে আক্রান্ত। আমরা সেই সংস্কৃতি চাই না। একটিমাত্র দল বা তার নেতা নয়, জোট চলে অনেক দল নিয়ে। নির্বাচন হয়ে গেলে আমরা যে কোনও সময় বসে নেতা বাছাই করতে পারি। এ নিয়ে তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। ভুলে যাবেন না, মনমোহন সিংহ কিন্তু ২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রী মুখ ছিলেন না, কিন্তু তিনি ১০ বছর সাফল্যের সঙ্গে সরকার চালিয়েছিলেন।
তবে তিনি কি বিরোধী শিবিরকে একজোট করার দায়িত্ব নেবেন, যেমনটা ২০০৪ এ করেছিলেন তাঁর বাবা? তেজস্বী জানান, বিরোধী জোটে তিনি সর্বকনিষ্ঠ, নেতাও নন, শিক্ষার্থী। বলেন, বাবা ইউপিএ-১ কে একজোট করেছিলেন, ২০১৪র মে থেকে তিনি বিরোধী ঐক্যের সমর্থক। আমাদের দলের কেউ তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারলে ভীষণ খুশি হব।