নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে রাফাল ডিল সংক্রান্ত শীর্ষ আদালতের রায় সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য রাহুল গাঁধীর দুঃখ প্রকাশের পর তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করল বিজেপি। কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের মুখে নিজের বক্তব্য বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননা প্রক্রিয়া শুরুর দাবি করে পিটিশনও দেন বিজেপি এমপি মীনাক্ষি লেখি। গত ১৫ এপ্রিল শীর্ষ আদালত জানায়, তাদের রাফাল ডিলের রায়ে ‘চৌকিদার নরেন্দ্র মোদি চোর হ্যায়’, এমন আপত্তিজনক অভিমত জানানোর কোনও কারণই ছিল না। রাহুল দাবি করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এমন পর্যবেক্ষণই করেছে। এজন্য রাহুলের ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস দেয় সর্বোচ্চ আদালত। রাহুল হলফনামা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ আদালতের অসম্মান করার বিন্দুমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। উত্তপ্ত রাজনৈতিক প্রচারের মধ্যে তাঁর মন্তব্যের অপব্যবহার করেছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপি মুখপাত্র জিভিএল নরসিমা রাওয়ের দাবি, সু্প্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে রাহুল স্বীকার করেছেন, তিনি রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে মিথ্যা বলেছিলেন। রাও বলেন, মিডিয়া মারফত জানলাম, রাহুল গাঁধী মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের মুখে কথা বসানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে হলফনামা দিয়েছেন। হয়তো এমনটা এই প্রথম যে, একটি জাতীয় দলের সর্বোচ্চ সভাপতিকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মিথ্যা বলার কথা স্বীকার করতে হল। যেখানে কিছু ছিলই না, সেখানে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে ইচ্ছা করেই রাহুল মিথ্যা বলেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপি মুখপাত্রটি বলেন, আমাদের দাবি, রাহুল বারবার রাফাল ইস্যুতে মিথ্যা বলার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান। কংগ্রেস কর্মীদের এটা দেখে আজ লজ্জায় মাথা হেঁট হচ্ছে যে, তাদের জাতীয় সভাপতি রাফাল নিয়ে নির্জলা মিথ্যা বলে যাচ্ছেন।
রাহুলের হলফনামাকে তাঁর অপরাধের স্বীকারোক্তি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আদালতে, জনগণের মাঝেও উনি দোষী প্রতিপন্ন হলেন। মাননীয় আদালত তাঁর হলফনামা খতিয়ে দেখবে, কিন্তু আজ মানুষের চোখে রাহুল গাঁধী একজন প্রথম সারির মিথ্যাবাদী যিনি শুধু রাজনৈতিক লাভের জন্য মিথ্যা বলে যাচ্ছেন।
রাহুলের বিশ্বাসযোগ্যতা মার খেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বলেছেন, দেখে কষ্ট হচ্ছে যে, কংগ্রেসের মতো জাতীয় দলের সভাপতিকে মিথ্যার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের রোষ এড়াতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে রাজনৈতিক ভাবে সুবিধাজনক যুক্তি খাড়া করেছেন, কিন্তু প্রশ্নটা বিশ্বাসযোগ্যতার।