নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী সরকার, বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ সনিয়া গাঁধীর। সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে সমাজে বিভাজন ঘটাতে কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসা সংঘটিত করছে বলে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠকে অভিযোগ করেন তিনি।
সনিয়ার ভাষণে শোনা গিয়েছে আশার সুর। দলকে শক্তিশালী করতে কংগ্রেস এমপিদের দলীয় সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বিপুল উদ্দীপনা, উত্সাহ, আনুগত্য ও নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা একজন নতুন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত করেছি। আপনাদের সবার, আমার তরফে ওকে জানাই বিপুল অভিনন্দন। ও এখন আমারও বস, এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। আমি এও জানি, আমার সময় আপনারা যে গভীর আনুগত্য, নিষ্ঠা, উদ্যম দেখিয়েছেন, একই ভাবেই ওর সঙ্গে থাকবেন। আমি নিশ্চিত, আমরা সকলে একজোট হয়ে ওর নেতৃত্বে দলের ভবিষ্যত্ পুনরুজ্জীবনে কাজ করব। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
মোদী সরকার বাস্তবের সঙ্গে যোগ হারিয়ে ফেলেছে, লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গতকালের ভাষণে সেটা পরিষ্কার বলেও মন্তব্য করেন সনিয়া।
তিনি জানান, কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান হিসাবে আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির যাতে পরাজয় হয়, গণতান্ত্রিক, সহনশীল, ধর্মনিরপেক্ষ, আর্থিক দিক থেকে প্রগতিশীল, দেশের সব অংশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলার রাস্তায় ভারত ফিরে আসে, তা সুনিশ্চিত করতে সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে তিনি কংগ্রেস সভাপতি ও অন্য নেতাদের সঙ্গে কাজ করবেন।
সনিয়া বলেন, মহিলা ও দলিতরা যেমন নতুন করে ব্যাপক আক্রমণের শিকার হচ্ছে, তেমনই দেশে আজ সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বোধ করছে। অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ করে সংখ্যালঘু, দলিতদের ওপর এই হামলাগুলি বিক্ষিপ্ত, স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদের সমাজে বিভাজন তৈরি করার লক্ষ্যে করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতে এটা দেখা গিয়েছে, আসন্ন কর্নাটক বিধানসভা ভোটেও নিঃসন্দেহে দেখা যাবে। গণতন্ত্রে এহেন বিভাজন ফৌজদারি অপরাধ, তবুও ক্ষমতাসীন লোকজন সেদিক থেকে নজর সরিয়ে রেখেছে।