মুম্বই: দূরত্ব কমিয়ে কাছাকাছি এসেছে পুরনো শরিক। তাই কি সুর বদলে প্রশংসা? কয়েক মাস
আগেই যাঁকে নানা ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন শিবসেনা প্রধান, সেই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বকেই সার্টিফিকেট দিলেন উদ্ধব ঠাকরে। বিজেপির সঙ্গে জোট ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টাও কাটল না, নমোর প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ শিবসেনা প্রধান। রাহুল গাঁধী ও প্রিয়াঙ্কা গাঁধী পরিণত হচ্ছেন, একথা মেনে নিয়েও উদ্ধব বলছেন, ২০১৪ সালের পর থেকে কংগ্রেস সভাপতির উন্নতি হয়েছে ঠিকই, তবে তা কোনও ভাবেই মোদীর নেতৃত্বের সঙ্গে তুলনীয় নয়। মোদির ধারেকাছে নন তাঁরা।
লোকসভা ভোটে শিবসেনা, বিজেপির আসন ভাগাভাগি নিয়েও সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন তিনি। শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-য় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে এমনও লেখা হয়, এই জোট নিয়ে মানুষের থেকেও বেশি মাথা ব্যথা ছিল বিরোধীদের। এবার তাঁদের গায়ে জ্বালা ধরবে। সেনা প্রধানের কথায়, এই জোট কোনও ফায়দা তোলার জন্য তৈরি হয়নি। মহারাষ্ট্রের মানুষের কথা ভেবেই ফের বন্ধুত্ব হয়েছে দুই শরিকের।


যদিও বিজেপি ও শিবসেনার মতবিরোধ নিয়ে কোনও কথাই বলেননি তিনি। রামমন্দির ইস্যু এবং শিবসেনা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করা, এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনও কথাই বলেননি উদ্ধব। বরং সেনার তরফে উল্টে এই প্রশ্নই তোলা হয়, মতের অমিল থাকা সত্ত্বেও বিহারে যদি নীতীশ কুমার ও নরেন্দ্র মোদী হাত ধরতে পারেন, তাহলে মহারাষ্ট্রে কেন নয়? মোদিকে হারাতে যদি নীতির উর্ধ্বে গিয়ে মহাজোট করতে পারে কংগ্রেস, তাহলে বিজেপি আর সেনায় আসন সমঝোতাতেও কোনও দোষ নেই।