রাইচুর: ভোটের প্রচার চলছে। তা বলে জলযোগ বাদ পড়বে কেন। জলযোগে মুড়ি-তেলেভাজা তো অনেকেরই পছন্দের খাবার। ব্যতিক্রম নন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। কর্নাটকে আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করেছেন রাহুল। তারই ফাঁকে রাইচুরের কালামালায় রাস্তার ধারের একটি দোকানের বেঞ্চে বসে জমিয়ে মুড়ি ও 'পকোড়া' খেলেন তিনি।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, পকোরা বেচে যদি কেউ দিনে ২০০ টাকা আয় করেন, তাহলে কি তাকে কর্মসংস্থান বলা যাবে না।

মোদীর এই মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এরই মধ্যে রাহুলের 'পকোড়া-ভোজ' অত্যন্ত তাত্পর্য্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে গ্রামে এসে সেখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে পানীয় জলের সমস্যার কথা শোনেন রাহুল। এরপর সোজা পৌঁছে যান রাস্তার ধারের ওই দোকানটিতে। তাঁর সঙ্গে সিদ্দারামাইয়া ছাড়াও ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে, দলের রাজ্য সভাপতি জি পরমেশ্বরের মতো নেতারা। বেঞ্চে সিদ্দারামাইয়া ও বীরাপ্পা মইলির মাঝে বসে হাসিমুখে মুড়ি ও মির্চি ভাজি জমিয়ে খান রাহুল। সঙ্গে চলে গল্পও। মুখের চওড়া হাসি দেখেই অনুমান, মুড়ি-তেলেভাজার স্বাদে মজেছেন সনিয়া-তনয়। সব শেষে দোকানের মালিক মারাম্মা রাহুল সহ কংগ্রেস নেতাদের চা-ও পরিবেশন করেন।





খাবার সময় রাহুলকে কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল, রাজ্যের মন্ত্রী ডি কে শিব কুমার ও খাড়্গের সঙ্গেও হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়।
জলখাবারের পর রাহুল দাম চুকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে উঠে ভোটের প্রচার শুরু করেন।
কর্নাটকে রাহুলের চারদিনের জনাশীর্বাদ যাত্রার ছিল আজ তৃতীয় দিন।