অযোধ্যা: মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ করে কদিন আগে খবরে এসেছিল অযোধ্যার হনুমানগারহি মন্দির। এবার সেই মন্দিরই দর্শন করলেন রাহুল গাঁধী। তবে ওই মন্দির থেকে রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মাত্র কিলোমিটার খানেক দূরে থাকলেও ওদিকে পা বাড়ালেন না তিনি। ৯২-এ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর এই প্রথম গাঁধী পরিবারের কেউ পা রাখলেন ভগবান রামের শহরে।

কংগ্রেসের কিষাণ মহাযাত্রার অংশ হিসেবে অযোধ্যায় এসেছিলেন রাহুল। তার অংশ হিসেবেই তাঁর হনুমানগারহি মন্দির সফর। উত্তরপ্রদেশ ভোটে দলের ভাগ্য ফেরানোর চেষ্টায় চলছে তাঁর এই মহাযাত্রা। রাহুলের বাবা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীরও ১৯৯০-এ আসার কথা ছিল এই মন্দিরে। কিন্তু রাজনৈতিক কাজে আটকে পড়ায় আসতে পারেননি তিনি। আর ৯১-এ তাঁর মৃত্যু হয়। বলা যেতে পারে, বাবার সেই অপূর্ণ ইচ্ছাই পূরণ করলেন রাহুল।



অনেকে মনে করছেন, কংগ্রেসের গায়ে যে হিন্দু-বিরোধী তকমা সেঁটে বসেছে, তা তোলার চেষ্টায় রাহুলের এই মন্দির দর্শনে আসা। এই ভোটে কংগ্রেসের উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোর নাকি পরামর্শ দিয়েছেন, ব্রাহ্মণ ভোট টার্গেট করতে। সে জন্য এই সফরের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আবার শোনা যাচ্ছে, মন্দিরে এসে কংগ্রেস কর্মীরা পুরোহিতকে বলেন, রাহুল যাতে প্রধানমন্ত্রী হন, সে জন্য প্রার্থনা করতে।

রাহুলের মন্দির সফরকে অবশ্য গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি। তাদের বক্তব্য, বিজেপি যখনই রাম মন্দিরের কথা বলে, কংগ্রেস বলে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। এতদিনে রাহুল যে শ্রীরামের ক্ষমতা বুঝতে পারলেন, এটাই মঙ্গল।