নয়াদিল্লি: দেশের প্রথম যুগ্ম রেল ও কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার মাস খানেক আগে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়ে দিলেন (রেলের) পরিষেবার সুযোগ-সুবিধা নিতে গেলে যাত্রী/উপভোক্তাদের যথাযথ দাম দিতেই হবে। একইসঙ্গে, রেলের আপ্যায়ণ-জাতীয় পরিষেবার মত ‘নন-কোর’ বিষয়গুলির ‘আউটসোর্সিং’-এর হয়ে জোরালো সওয়াল করেন তিনি।


৯২ বছরের ইতিহাস বদলে আগামী বছরই প্রথম একসঙ্গে রেল ও কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হতে চলেছে সংসদে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ওই যুগ্ম বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তার আগে, মঙ্গলবার তিনি ইঙ্গিত দিলেন যে, এবারের রেল বাজেট ‘জনমুখী’ হবে না।


এদিন জেটলি জানান, বছরের পর বছর ধরে রেল বাজেটের সাফল্য যাত্রীদের ভর্তুকি দিয়ে এবং জনমুখী ঘোষণার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় রেল এমন এক লড়াইয়ে আটকে রয়েছে, যেখানে পারফরম্যান্সের চেয়ে পপুলিজম বেশি গুরুত্ব পায়।



কিন্তু, এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে জেটলি জানিয়ে দেন, কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে চালু রাখার প্রাথমিক শর্ত হল যে কোনও পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের ব্যয় করতে হবে। জেটলির দাবি, এতদিন পরিষেবার জন্য গ্রাহকরা যথাযথ ব্যয় না করাতেই রেলের কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে।


অর্থমন্ত্রী মনে করেন, যতক্ষণ না রেল তার পারফরম্যান্স এবং অভ্যন্তরীণ ম্যানেজমেন্ট আরও মজবুত করবে, মাল সরবরাহের ক্ষেত্রে তারা সড়ক ও বিমানের মত অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে পিছিয়ে পড়বে।


জেটলির মতে, রেলের একটাই কাজ—তা হল ঠিকভাবে ট্রেন চালানো। নিজেদের পরিষেবা যথাযথ প্রদান করা। তিনি জানান, আপ্যায়ণ রেলের প্রধান লক্ষ্য নয়। তাই, একে রেলের ‘কোর’ বা মূল উদ্দেশ্যগুলির বাইরে রাখা হয়েছে। এখানেই জেটলি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ‘নন-কোর’ বিষয়গুলিকে ‘আউটসোর্সিং’ করা হয়।