নয়াদিল্লি: ফের কি ঘুরপথে মহার্ঘ হচ্ছে রেলযাত্রা?
ট্রেনের টিকিটে সুরক্ষা সেস বসানোর ভাবনা ঘিরে জোরদার জল্পনা। যদিও রেলকর্তারা বলছেন, ৩টি উপায়ে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিলের লক্ষ্যমাত্র পূরণ করা যেতে পারে। প্রথমত, যাত্রীদের কাছ থেকে সুরক্ষা সেস আদায় করা। দ্বিতীয়ত, ভাড়া না বাড়িয়ে রেলের সম্পত্তি থেকে আয় বাড়ানো। তৃতীয় রাস্তা, পণ্য মাসুল বাড়ানো।
কিন্তু যেখানে আলাদা ২টি রাস্তা খোলাই রয়েছে, সেখানে যাত্রীদের ওপর সেস বসানোর ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, ভাড়া এমনিতেই বেশি, আর না বাড়িতে বিকল্প রোজগার করুক রেল। ঠিক নয়।
রেলকর্তারা জানিয়েছেন, এবিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তহবিল গড়ে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও কিছুটা সাহায্য করতে হবে। তবে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবমিলিয়ে ঘনীভূত আশঙ্কার মেঘ।
কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা, আগামী পাঁচ বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ রেল নিরাপত্তা তহবিল তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে প্রতি বছর খরচ করা হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। যা দিয়ে রেল লাইন, সিগনাল ব্যবস্থা ও নিরাপত্তারক্ষীহীন লেভেল ক্রশিং-এর উন্নয়ন হবে।
সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরের ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সড়ক তহবিল থেকে ১০ হাজার কোটি এবং অর্থমন্ত্রক থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা হাতে এসেছে রেলের। ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, বাকি ৫ হাজার কোটি টাকা জোগাড় করার জন্য চলতি আর্থিক বছরে বাড়তি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই তহবিল ভরাতে টিকিটে নিরাপত্তা সেস বসানোর কথা ভাবছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ঘুরপথে আয় বাড়াতে গিয়ে আগেই বিপাকে পড়েছে ভারতীয় রেল! ফ্লেক্সি ফেয়ার পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে রেলকর্তাদের। কারণ, যাত্রী টানতে গিয়ে কমেছে যাত্রী-সংখ্যা!! এই প্রেক্ষিতে ফের রেলযাত্রা মহার্ঘ হওয়ার আশঙ্কা। ফের ঘুরপথে বাড়তে চলেছে রেলের ভাড়া।
রেল কর্তাদের সেস-ভাবনা কতখানি ফলপ্রসূ হয়, তা বলবে সময়ই।