নয়াদিল্লি: ফের ‘জ্ঞান’ আওড়ে বিতর্কে রাজস্থানের বিজেপি বিধায়ক জ্ঞানদেব আহুজা।

সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববদ্যালয় (জেএনইউ)-তে প্রায় প্রতিদিনই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। এখানেই থেমে থাকেননি এই নেতা। তাঁর আরও দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা গাঁধী-নেহরু পরিবারের মূর্তিগুলিকে এখনই নামিয়ে আনা প্রয়োজন। আর মানুষ সেই মূর্তির গায়ে থুতু ছেঁটাবেন।

এই প্রথমবার নয়। এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন এই বিজেপি বিধায়ক। বছরের গোড়ায় জেএনইউ-কাণ্ডের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের’ খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে আহুজা দাবি করেছিলেন, প্রায়ই সখানকার ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে প্রতিদিন ২ হাজার দেশী ও বিদেশি খালি মদের বোতল, ১০ হাজার সিগারেটের বাট, ৪ হাজার বিড়ির টুকরো, ৫০ হাজার হাড়ের টুকরো এবং ২ হাজার চিপসের প্যাকেট পাওয়া যায়। এছাড়া, প্রতিদিন সেখান থেকে ৩ হাজার কন্ডোম এবং ৫০০ গর্ভপাতের সিরিঞ্জও উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করেছিলেন জ্ঞানদেব। তাঁর এই মন্তব্যের জন্য প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। যদিও, তাতে যে তাঁর ওপর কোনও প্রভাব পড়েনি, এদিনের মন্তব্যেই পরিষ্কার।

১৯৯৮ সালে বিধায়ক হন জ্ঞানদেব। অভব্য আচরণের অভিযোগে তাঁকে ‘লঙ্কেশ’ বলে কটাক্ষ করতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত। নয়ের দশকে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে আহুজার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশের সামনে হাজির হতে অস্বীকার করায় দীর্ঘ ১০ বছর পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় তাঁর নাম ছিল।